পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\と সরল বেদান্ত দর্শন । ঘে কলিকালে মানবের ধীশক্তি ক্রমশঃই কমিয়া আসিবে এবং তখন মানব সভায্য সমস্ত বেদান্তস্থর আয়ত্ত করিতে কোন মতেই সমর্থ হইবে না। এই সমস্ত স্বল্পক্ষম মানবের প্রতি অনুগ্রহ করত ভগবান শঙ্করাচার্য্য প্রথম চারিস্বরের ভাষ্যে সংক্ষিপ্তভাবে সমস্ত বেদান্ত দর্শনের সার সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়া গিয়াছেন। ইহাকে চতুঃস্বত্রী বলে । এই চতুঃস্বত্রী সম্যকরূপে আয়ত্ত করিতে পারিলে মানব সমস্ত বেদান্তদর্শন পাঠের ফললাভ করে। এই চতুঃস্থত্রীর ক্রমশঃ আলোচনা করা যাইতেছে। ১ম সূত্র ॥ অথীতে। ব্রহ্মজিজ্ঞাসা ॥ “অর্থ অত: ব্রহ্মজিজ্ঞাসা” এই কয়েকটা কথা লইয়া স্বত্রট হইয়াছে। সচরাচর “অথ” শব্দ তিন অর্থে ব্যবহৃত হয়। যথা (১) অনস্তর, (২) আরম্ভ, (৩) মঙ্গল । এখানে “অথ” শব্দের অর্থ ‘অনন্তর” । এমন কথা বলিতে পার বে, আরম্ভ অর্থে অৰ্থ শব্দের এইরূপ প্রয়োগ দেখা যায়—যথা, “অৰ্থ সন্ধি প্রকরণ” “অৰ্থ সমাস” এবং এখানেও অর্থ শব্দের সেই অর্থ। কিন্তু সে অর্থ এখানে হইতে পারে না। জ্ঞানার্থক জ্ঞা ধাতুর উত্তর ইচ্ছার্থে সন, প্রত্যয় করিয়া নিম্পন্ন ‘জিজ্ঞাসা” শব্দের অর্থ জানিবার ইচ্ছা । এবং “ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা” শব্দের অর্থ ব্ৰহ্মকে জানিবার ইচ্ছা । যদি “অথ” শব্দের আরম্ভ অর্থ গ্রহণ করা যায় তাহা হইলে বলিতে হইবে যে এই প্রথম সূত্র দ্বারা ব্ৰহ্মকে জানিবার ইচ্ছার প্রকরণ আরম্ভ হইল এবং বেদান্তদর্শনগ্রন্থে ব্ৰহ্মকে জানিবার ইচ্ছা বিচারিত হইয়াছে । কিন্তু বাস্তবিক বেদান্তদর্শন ব্ৰহ্মকে জানিবার ইচ্ছার প্রকরণ নহে এবং ব্রহ্মকে জানিবার ইচ্ছার বিষয় বিচার করাও বেদান্তদর্শনের তাৎপর্য্য নহে। “ব্রহ্ম কি বস্তু” “জীবের পরম পুরুষাৰ্থ কি” এবং “কি উপায়ে অবিদ্যা হইতে মুক্ত হইয়া যথার্থ জ্ঞান পাওয়া যায়” তাহা দেখানই বেদান্ত দর্শনের উদ্দেশ্য। সুতরাং আরম্ভ অর্থে এখানে “অৰ্থ” শব্দের প্রয়োগ হয় নাই । আবার বলিতে পার যে মঙ্গল অর্থে “অথ” শব্দের প্রয়োগ হয় এবং মঙ্গল অর্থেই এখানে “অথ” শব্দ প্রযুক্ত হইয়াছে। কিন্তু সে অর্থটা মঙ্গলা