পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ব্বিংশ প্রবন্ধ । እፄ ኃ বুঝিতে পারে যে, সে ইতিপূৰ্ব্বে মুখে স্বযুপ্ত ছিল। সুতরাং স্বযুপ্তাবস্থায় बौद ७कमांज श्रांनन्म छिब्र अछ किहूई अन्नडद करब्र न ७ष९ ७कमांज বৃত্তিশূন্ত চিত্ত ভিন্ন স্বযুপ্তাবস্থায় ইহার অন্য কোন উপলব্ধি দ্বার থাকে না । এই আনন্দই নিত্য সত্য আত্ম । এই আনন্দস্বরূপ আত্ম যখন প্রকৃতির অধীন, অবিদ্যাগ্রস্ত জীবরূপে দৃষ্ট হন, তখন ইহঁাকে জীবাত্মা বলা যায়। এবং যখন এই আনন্দস্বরূপ আত্মা প্রকৃতির অধিষ্ঠাতা, অবিদ্যাযুক্ত ঈশ্বরভাবে দৃষ্ট হন, তখন ইনিই সৰ্ব্বেশ্বর, সৰ্ব্বজ্ঞ, সৰ্ব্বান্তর্গামী, সৰ্ব্বযোনি, এবং সৰ্ব্বস্থিতি লয়কারণ পরমাত্মা বলিয়া অভিহিত হন। কিন্তু ঈশ্বর, ব্ৰহ্ম বা আত্মার তটস্থভাব মাত্র, স্বরূপভাব নহে। ঈশ্বর ভাব থাকিলেই ঈশিতব্য পদার্থের অস্তিত্ব থাকা প্রয়োজন। যে অবস্থায় কোন প্রকার দ্বিতীয় পদার্থের অস্তিত্ব থাকে না,সেই অবস্থা পৰ্য্যালোচনা করিলে ব্রহ্ম বা আত্মার স্বরূপভাব জানা যায়। প্রকৃতির কারণ, প্রকৃতিরূপ উপাধিবিনিৰ্ম্ম ক্ৰ, আনন্দস্বরূপ চিন্মাত্রই ব্ৰহ্ম বা আত্মার স্বরূপভাব। ব্ৰহ্ম বা আত্মার এই স্বরূপভাবই চতুর্থ বা তুরীয়পাদ । ইহঁরই নাম শিব। ইনি তৈজসপুরুষের ন্যায় অন্তঃপ্রজ্ঞ নছেন। ইনি বিশ্বগণের ন্যায় বহিঃপ্রজ্ঞ নহেন। ইনি অন্তঃপ্রজ্ঞ ও বহিঃপ্রজ্ঞের সমষ্টিরূপ উভয়তঃপ্রজ্ঞ নহেন। ইনি প্রজ্ঞানঘন বা বিজ্ঞানসমষ্টি নছেন। ইনি প্রাঞ্জপুরুষের স্থায় প্রজ্ঞানঘনরূপ উপাধিধারী নহেন এবং ইনি জড়পদার্থও নহেন। ইনি কোন ইঞ্জিয়ের গম্য নহেন। ইনি ব্যবহারিক জগতের কোন দ্রব্য নহেন। ইনি বুদ্ধির অগোচর। ইহঁর কোন প্রকার লক্ষণ নাই। মন ইহঁাকে চিন্তা করিতে পারে না। বাক্য দ্বার ইহঁার বর্ণনা করা যায় না। অথচ ইনি সৰ্ব্বদা সমস্ত জীবের জ্ঞানপথে স্বপ্রকাশ আত্মা ভাবে বিরাজমান রহিয়াছেন। বালো, যৌবনে, প্রৌঢ়াবস্থায়, বাৰ্দ্ধক্যে মৃত্যুরপরে জাগরণ চালে, নিদ্রাকালে, সুমুপ্তিকালে, সৰ্ব্বাবস্থায় জীব আপনার স্বরূপকে অবিলাশী, নিৰ্ব্বিকার, নিত্য আত্মা বলিয়া জানে। ইনিই সেই প্রত্যগাত্মা বা সৰ্ব্বজীবের আস্থা। এই প্রত্যগাত্মভাব ভিন্ন অন্ত কোন ভাবে ব্ৰহ্ম বা আত্মার স্বরূপভাৰ জানা বা