እግ¢ সয়ল বেদান্ত দশন । ৰাস্তবিক দ্বিতীয় পদার্থ নাই। তখন আর র্তাহার শোক ও মোহের কোন কারণ থাকে না এবং তিনি মুক্ত হন। আত্মার হস্ত নাই অথচ সকল বস্তুই র্তাহার বশীভূত। তাহার পদ নাই অথচ তিনি সৰ্ব্বত্র উপস্থিত। তাছার চক্ষু নাই অথচ তিনি সকল বস্তুই দেখিতেছেন। তাহার কর্ণ নাই অথচ সকল প্রকার শব্দই তিনি শুনিতেছেন। তাহার মন নাই অথচ তিনি সকল বিষয়ই জানিতেছেন। তাহাকে কেহ জানিতে পারে না । তিনি জগতের আদি পরমপুরুষ বলিয়া অভিহিত হন। তিনি স্বল্প অণু অপেক্ষাও সূক্ষ্মতর এবং মহৎ জগৎ হইতেও মহত্তর। সমস্ত জগতের হৃদয়ে তিনি আত্মাভাবে অবস্থিত আছেন। তিনি বিষয়ভোগ-সঙ্কল্প-রহিত এবং সৰ্ব্ব কৰ্ম্ম নিমিত্ত বৃদ্ধিক্ষয়শূন্ত। তাহার উপাসনা করিয়া তাহার প্রসাদে যে সাধক তাহাকে আপন আত্মা বলিয়া সাক্ষাৎ জানিতে পারেন তিনি ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ পাইয়া শোক মোহাদি হইতে মুক্ত ङ्न । বাস্তবিক এই সমস্ত প্রকৃতি র্তাহার মায়ামাত্র । তিনিই মায়ার প্রেরিত মহেশ্বর । যেমন ভ্রম দ্বারা রজুতে সর্পজ্ঞান হয় সেইরূপ মায়। দ্বারা তিনিই দ্রষ্টু-দৃশ্য-সমন্বিত এই জগৎ ভাবে বিবর্তিত রহিয়াছেন। ব্রহ্মোপুনিষদ বলিয়াছেন— যে সৰ্ব্বজ্ঞ ঈশ্বর প্রকৃতিকে স্বষ্টি এবং নানা ভাবে ব্যক্ত করিয়া আপনিই বহু নিক্রিয় জীবাত্ম। ভাবে প্রকাশিত হন সেই ঈশ্বরকে যে সকল ধীর ব্যক্তিরা আপনাদিগের আত্মা বলিয়া জানিতে পারেন কেবলমাত্র তাহারাই অক্ষয় অব্যয় মুখ প্রাপ্ত হন অপরের ভাগ্যে তাহ ঘটে না । স্বজ্ঞাদিস্থলে দুই খণ্ড কাষ্ঠ ঘর্ষণ করত অযুৎপাদন করিতে হয়। উহাদের অধোবৰ্ত্তী কাষ্ঠকে অরণি এবং উপরিস্থিত কাষ্ঠকে উত্তরারণি বলে। অরণি এবং উত্তরারণি ঘর্ষণ করিয়া যেরূপে অ্যুৎপাদন হয় সেইরূপ বুদ্ধির সহিত অর্থাৎ উপাসনা তত্ত্ব বুঝিয়া প্ৰণবোচ্চারণ করত আত্মার ধ্যান করিতে থাকিলে অবশেষে নিগুঢ় ভাবে অবস্থিত আত্মার সাক্ষাৎ দশন পাওয়া যায়।
পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।