পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԶԳե- সরল বেদান্ত দর্শন । হয় না। বিদ্যা দুই প্রকার। শাস্ত্ৰাধ্যয়ন, শাস্ত্রপ্রবণ, শাস্ত্রবাক্য বিচার, ভগবস্তুক্তগণের ও গুরুর উপদেশ প্রভৃতি যে সমস্ত বিদ্যা দ্বারা প্রকৃতির অধিষ্ঠাত ঈশ্বরের পরোক্ষ জ্ঞান লাভ হয় সেই সমস্ত বিদ্যাকে শব্দব্রহ্মবিদ্যা বলে। আর উক্ত বিদ্যা এবং নিদিধ্যাসন দ্বারা নিরুপাধিক ব্রহ্মের যে অপরোক্ষ জ্ঞান হয় তাহাকে পরব্রহ্ম বিদ্যা বলে। শব্দব্ৰহ্ম বিদ্যায় কুশল হওয়ার পর সাধক শকাব্রহ্মবিদ্যা প্রদর্শিত উপায় অবলম্বনপুৰ্ব্বক পরব্রহ্মের ধ্যান করিতে করিতে পরব্রহ্মের অপরোক্ষ জ্ঞানলাভ করেন। যেমন ধ্যানার্থী ব্যক্তি প্রথমে তৃণসহ ধান্ত সংগ্রহ করে এবং পরে ধান্ত গ্রহণপূৰ্ব্বক তৃণ পরিত্যাগ করে, সেইরূপ সাধক প্রথমে শাস্ত্রাদির সাহায্য গ্রহণ করেন, এবং শাস্ত্রাদি প্রদর্শিত উপায় দ্বারা নিগুণ ব্রহ্মের অপরোক্ষ জ্ঞানলাভ হইলে পর শাস্ত্রাদি সমস্ত পরিত্যাগ করেন। vগীতা বলিয়াছেন-= যাহাকে অপরোক্ষভাবে জানিতে পারিলে মোক্ষলাভ হয় সেই জ্ঞেয়পদার্থের বিষয় বলিতেছি । তিনি আদি রহিত পরব্রহ্ম । জন্ম-ক্রিয়া-গুণ সম্বন্ধ-শূন্ত বলিয়া কেহ কেহ তাহাকে অসৎ বলেন কিন্তু বাস্তবিক তিনি সত্ত্বাশূন্ত নহেন। তাহার সত্ত্বাতেই সকল পদার্থের সত্ত্বা লক্ষিত হয়। তিনিই একমাত্র সৎ । তাহার হস্ত, পদ, চক্ষু, মস্তক, মুখ, কর্ণ, নাদিক প্রভৃতি ইন্দ্রিয় সকল সৰ্ব্বত্র বর্তমান এবং তিনি সমস্ত পদার্থ ব্যাপিয়া সৰ্ব্বদ বিদ্যমান আছেন। কিন্তু প্রকৃতির অধীন ও অন্তর্গত জীবের দ্যায় তিনি ইন্দ্রিয়াদিযুক্ত নহেন। বুদ্ধি মন ও ইন্দ্রিয় সমূহ বিবর্জিত হইলেও তিনি ঐ সমস্ত শক্তি সমন্বিত। যদিও তিনি সমস্ত স্থঃ পদার্থ হইতে বিলক্ষণ এবং কোন স্বই পদার্থের সহিত র্তাহার সংশ্লেষ হইতে পারে না তথাপি মন যেমন স্বল্পজগৎকে ধারণ করে তিনিই সেইরূপ এই সমস্ত জগৎ ধারণ করিয়া রহিয়াছেন। যদিও তাহার নিজের কোন প্রকার প্রাকৃতিক গুণ নাই তথাপি তিনি সমস্ত গুণের ফলাফল উপলব্ধি করেন। তিনি সমস্ত শরীরের বাহিরে ও অভ্যন্তরে অবস্থিত এবং সমস্ত স্থাবরজঙ্গমশরীর ভাবে তিনিই বিরাজিত। অতি স্বল্প বলিয়া শাস্ত্রোপদিষ্ট মার্গামুসরণ ভিন্ন