পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ প্রবন্ধ। अभt६iन १ যেগান্তশাস্বমতে ব্ৰহ্মই জগতের স্বষ্টি-স্থিতি-লয় কারণ এবং ব্রহ্মজ্ঞানই বেদান্তশাস্ত্রের চরম প্রতিপাদ্য, এই বিষয়ে পূৰ্ব্বে যে সকল আপত্তির উল্লেখ হইয়াছে এক্ষণে একে একে তাহাদের বিচার করা যাইতেছে। প্রথম আপত্তি এই যে, ব্রহ্ম বলিয়া কোন পদার্থ নাই, ব্রহ্মবিষয়ক যে সকল বাক্য বেদন্তিশাস্থে আছে তাহারা বিধিনিষেধ-সংস্পৰ্শ-শূন্ত সুতরাং অপ্রমাণ, ধম নিয়ম প্রভৃতি ক্রিয়ার উপদেশই বেদান্তশাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য, উক্ত সাধুক্ৰিয়া সকল করিতে করিতে মনুষ্য ক্রমশই উন্নত হইতে থাকে। এই শ্রেণীর আপত্তিকারীর মধ্যে কেহ কেহ বলেন যে মনুষ্য উক্ত ক্রিয়া সকল করিতে করিতে যখন চরম উন্নতি প্রাপ্ত হন তখন দীপনির্বাণের স্তায় তাহার নির্বাণ হয় এবং তাহার আর কোন প্রকার অস্তিত্ব থাকে ন। এই আপত্তির উত্তরে বক্তব্য এই যে যদি বেদান্তবাক্যসকল পাঠ করিয়া ইহা নিশ্চয় বুঝা যায় যে ব্রহ্মজ্ঞানের উপদেশ দেওয়াই বেদত বাক্য সকলের তাৎপৰ্য্য তাছা হইলে ঐ সকল বেদান্ত বাক্যের অন্য প্রকার অর্থ কল্পনা করা উচিত নহে। ঐরপ অন্ত অর্থ কল্পনা করিলে শ্রুতহানি ও অশ্ৰুতকল্পনা এই দুইটি দোষ হয়। শুনিবমাত্র যে অর্থের প্রতীতি হয় সে অর্থ পরিত্যাগ করাকে প্রত্যানি দোষ বলে। কোন একটা বাক্যে যে সকল শব্দ থাকে সেই সকল পদের সমষ্টি দ্বারা যে অর্থ হইতে পারে তাহা পরিত্যাগ করিয়া অন্য অর্থ কল্পনা করার নাম অশ্ৰুতকল্পনা দোষ। উপরে উদ্ধৃত বেদান্তবাক্যসকল পরীক্ষা করিলে নিশ্চয়ই প্রতিপন্ন হইবে যে (১) জীবাত্মা ও ব্রহ্ম অভেদ, (২) জগৎ মিথ্যা ও ব্রহ্মের মারাদ্বারা ভাসমান, (৩) ব্ৰহ্মই একমাত্র নিত্য ও সত্য এবং (৪) শাস্ত্রমত তপস্যা বা সাধনা করিলে ব্রহ্মের অপরোক্ষ