পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* পঞ্চবিংশ প্রবন্ধ । ○b > জ্ঞান হয়, ইহাই ঐ সকল বেদান্তবাক্যের তাৎপৰ্য্য এবং ঐ সকল বাক্যের অন্ত কোন প্রকার তাৎপৰ্য্য হইতে পারে না। ইতিপূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে আখ্যায়িকা সকলের বাক্য হইতে যে অর্থ লব্ধ হয় সে অর্থ অর্থই নহে কিন্তু তাৎপৰ্য্য অনুসারে যে অর্থ পাওয়া যায় তাহাই যথার্থ অর্থ এবং সেই অর্থেই আখ্যায়িকা প্রামাণ্য। এই সূত্র অবলম্বন করিয়া পূৰ্ব্বোস্থত বেদান্তবাক্য সকলের শব্দগত অর্থ উড়াইয়া দেওয়ারও উপায় নাই। কেন না ঐ সকল বাক্য অাখ্যায়িকা নহে, উহারাই আপন আপন মূল উপনিষদের তাৎপৰ্য্য। কোন শাস্ত্রের কি তাৎপৰ্য্য তাহ অবধারণ করিতে হইলে উক্ত শাস্ত্রের উপক্রম-উপসংহার-প্রভৃতি বিশেষ করিয়া পরীক্ষা করা উচিত । * (১) উপক্রম বা আরম্ভ (২) উপসংহার বা শেষ (৩) অভ্যাস বা কোন কথার পুনঃ পুন: উল্লেখ (৪) অপূৰ্ব্বত বা নুতন কথা (৫) ফল বা পরিমাণ (৬) অর্থবাদ বা আখ্যায়িক প্রভৃতি দ্বারা কোন এক বিষয়ের প্রশংসা এবং (৭) উপপত্তি বা কোন একটা সন্দিগ্ধ বিষয়ের মীমাংসা —এই সাতটা বিষয় হুঙ্গভাবে পরীক্ষা করিলে তবে তাৎপৰ্য্য নির্ণয় করা যায়। এই সাতটা বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া উপনিষদ সমূহ পাঠ করিলে স্পষ্টই দেখ। ধায় যে, জীবাত্মা ও ব্রহ্ম অভিয়,ব্ৰহ্মই একমাত্র নিত্য ও সত্য, জগৎ মিথ্যা এবং তপস্যা দ্বারা উক্ত জ্ঞান পাওয়া যায় এই উপদেশ দেওয়াই উপনিষদ, বা বেদান্তসমূহের তাৎপর্য এবং ঐ জ্ঞানলাভের উপায় বলিয়াই যম নিয়ম প্রভৃতির উপদেশ শাস্ত্রে দেওয়া হইয়াছে। যত কাল ন জীবের নিশ্চয় জ্ঞান হইবে যে এই জগৎ একেবারে মিথা এবং আমিই ব্ৰহ্ম এবং একমাত্র ব্ৰহ্মই সত্য ততকাল জীব এই সকল মনিয়মউপাসনাদি উপদেশ পালন করিবেন। ঐ সকল যম-নিয়ম-উপাসনাদি বিষয়ক উপদেশ সম্যক ভাবে পালন করিতে করিতে এমন এক কাল আসিবেই আসিবে যে সময় সাধক এই জগৎকে স্পচুই মিথ্য বলিয়া

  • উপক্রমোপসংহার।বভ্যাস পূৰ্ব্বত ফলং ।

অর্থবাদোপপত্তিশ্চ লিঙ্গং তাৎপৰ্য্য নির্ণয়ে ।