পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ প্রবন্ধ । >b"役 বাক্যের অর্থ এমত নহে যে আমার কথা তাহার শ্রবণগোচর হয় নাই কিন্তু এই বাক্যের অর্থ এই যে, সে আমার কথা ভক্তিপূৰ্ব্বক পালন করে নাই। শাস্ত্রের উপদেশ শ্রবণ করিবে ইহার অর্থ এই যে শাস্ত্র শ্রবণ করিয়া ভক্তিভাবে শাস্ত্রের বিধান ও উপদেশ পালন করিবে। সাধনার তৃতীয় সোপান এই যে আত্মা মন্তব্য। কেবলমাত্র আত্মার তত্ত্ব শ্রবণ করিলেও মন সৰ্ব্বদা আত্মচিস্তনে রত থাকে না । সেইজন্য যখন সবিকাশ পাইবে শাস্ত্রের অবিরোধী তর্কের সহিত আত্মার বিষয় ভাবিবে এবং আত্মার বিষয়ে শাস্ত্র যে সকল সিদ্ধান্ত স্থাপনা করিয়াছেন সেই সকল সিদ্ধাস্তে উপনীত হইৰার চেষ্টা করিবে এবং ঐ সকল সিদ্ধান্তে উপনীত হইলে ঐ সকল সিদ্ধান্ত আপন হৃদয়ে প্রোথিত করিবে। তাহার পর আত্মা নিদিধ্যাসিতব্য অর্থাৎ শাস্ত্রে আত্মার ধ্যানের সম্বন্ধে যেরূপ উপদেশ আছে সেই উপদেশ মত আত্মার ধ্যান করিবে। এইরূপে আত্মার ধ্যান করিতে করিতে ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করিতে পারিলে তবে আত্মজ্ঞান হয় এবং তখন ব্ৰহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা বলিয়া স্পষ্ট দেখা যায় এবং তখন অবিদ্যা ঘুচিয়া যায়। নতুবা ব্ৰহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা এই কথা শত সহস্রবার বলিলেও কোন ফল হয় ন। এখানে ইহা বলা কর্তব্য যে অবিদ্যানাশের পূৰ্ব্বে যে জগতের বাস্তবিক অস্তিত্ব ছিল সেই জগৎ অবিদ্যানাশের পর ধ্বংস পায় বেদান্তদর্শনের এমন উপদেশ নহে। বেদাস্তদর্শনের উপদেশ এই ষে, জগৎ চিরকালই মিথ্যা, যতদিন অবিদ্যা থাকে ততদিল ভ্রমবশতঃ জগৎ সত্য বোধ হয়, অবিদ্যা নষ্ট হইলে মিথ্য জগৎ মিথ্যা বলিয়াই খৃষ্ট হয়। শেষ আপত্তি এই যে, পরিবর্তনশীল এই জগতের উপর আস্থা না রাখিয়া শাস্ত্রোপদিষ্ট ব্ৰহ্মকে পরোক্ষভাবে জানিয়া তাহার আলোচনা ও উপাসনা কর, তাহা হইলে সেই আলোচনা ও উপাসনার ফলে তুমি এমন লোক পাইবে যে লোক সুখময় এবং যেখান হইতে আর পুনরাবৃত্তি হয় না। এই উপদেশ দেওয়াই বেদান্তশাস্ত্রের উদ্দেশ্য, অতএব ক্রিয়াই শাস্ত্রের প্রতিপাদ্য, কেবল ব্রহ্ম কি পদার্থ তাহা উপদেশ দেওয়া শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য নহে ; যে মুখময় লোক হইতে আর পুনরাবৃত্তি হয় না সেই ૨ S