১২ সরল বেদান্ত দর্শন । না। স্বয়ং জরাগ্রস্ত হইলেও কামাত্মাদিগের কামনা জীর্ণ হয় না। যতকাল জীবন থাকে ততকাল কামাত্মারা কামনারূপ রোগে কষ্ট পায়। যাহারা কামনারূপ তৃষ্ণ পরিত্যাগ করিতে পারে তাহাদেরই বাস্তবিক মুখ হয়।” তখন মনুষ্য দেখিবে যে ইহকাল ও পরকালে ভোগ বিষয়ে বৈরাগ্য লাভ করা, এবং মনকে বশীভূত এবং শান্ত করত নিত্য বস্তুতে মনোনিবেশ করাই "পরম মুখ।" তখন মনুষ্য গুরুর এবং বেদান্ত শাস্ত্রের, অর্থাৎ উপনিৰৎসমূহের উপদেশ সকল অনুসরণ পূর্বক নিত্যানিত্যবন্ধবিবেকী, ইহ মূত্রার্থফলভোগবিরাগী, শান্ত,দান্ত,উপরত, তিতিক্ষু, শ্রদ্ধাচিত্ত, সমাহিত,এবং মুমুক্ষু হইয়া ব্ৰহ্মতত্ত্বানুসন্ধান করিবেন। এরূপ করিম্ভে করিতে সাধক দেখিবেন যে আত্মাই ব্ৰক্ষ,এবং সমস্ত পদার্থ ব্ৰহ্ম বা আত্মাতেই প্রতিষ্ঠিত। বিষয়ী আত্মাই নিত্য, আত্মার কখন বিনাশ বা ভাবান্তর হয় না, এবং অনাত্ম সমস্ত পদার্থ বা বিষয় অনিত্য ও বিকারশীল,-এইরূপ নিশ্চয় জ্ঞানকে বিবেক বলে। হিরণ্যগৰ্ভ লোক হইতে স্থাবর তৃণ পর্য্যন্ত পরলোক এবং ইহলোকের সমস্ত পদার্থই অকিঞ্চিৎকর এইরূপ জানিয়া উক্ত সমস্ত পদার্থে আসক্তিশূন্ততাকে বৈরাগ্য বলে। বৈরাগ্য হেতু ৰহিরিঞ্জিয়ের সংযমের নাম শম। বাহ্যেঞ্জিয়ের নিগ্রহ দ্বারা অন্তঃকরণের তৃষ্ণ নিবৃত্তির নাম দম। বিষয়ামুভব হইতে বিরত হওয়ার নাম উপরতি। শীতগ্রীষ্মমুখদুঃখসহিষ্ণুতাকে তিতিক্ষা বলে। গুরু এবং বেদান্ত বাক্যে বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা কহে। আত্মার প্রতি চিত্তের একাগ্রতার নাম সমাধান। এবং মুক্ত হইবার ইচ্ছার নাম মুমুকুত্ব। এই সকল সাধনোপায় লাভ হইলেই মনুষ্যের ব্রহ্মকে জানিবার ইচ্ছা হয়। অতএব প্রথম স্থত্রে যে “অথ” শব্দ আছে তাহার দ্বারা উল্লিখিতসাধনোপায়লাভের আনন্তৰ্য্য বা পরবৰ্ত্তিতা বুঝাইতেছে। ফল কথা, যে ব্যক্তি ঐ সকল সাধন আয়ত্ত করিয়াছেন “তিনিই” ব্ৰহ্মতত্ত্বজ্ঞানের যথার্থ অধিকারী। يصيحصصصدمهه يح وهدد كده
পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।