পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রবন্ধ । > ዓ হইবে, সে বিষয়ে কিছুমাত্র উৎসুক না হইয়া” কেবলমাত্র শাস্ত্রের বিধি প্রতিপালন করিতে থাকেন, তিনি উপযুক্ত সময়ে আত্মজ্ঞানলাভ করেন। তখন তিনি দেখিতে পান যে, বুদ্ধি মন ইন্দ্রিয় এবং শরীর হইতে পৃথক তাহার চিন্ময় আত্মা, এবং হৃষ্ট জগৎ হইতে পৃথক চিন্ময় ব্রহ্ম, এই উভয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই, এবং চিন্ময় আত্মা ও চিন্ময় ব্রহ্ম অভিন্ন অর্থাৎ একই পদার্থ। মৃত্যুর পর অনাত্মজ্ঞ ব্যক্তির প্রাণের দ্যায় আত্মজ্ঞানীর প্রাণ এক শরীর হইতে অন্য শরীরে যায় না। আত্মজ্ঞানীব্যক্তি আপনাকে ব্ৰহ্ম হইতে অভিন্ন দেখিতে পাওয়ায় তাহাকে আর জন্মগ্রহণ করিতে হয় না । তিনি ব্ৰহ্মত্ব প্রাপ্ত হন,অৰ্থাৎ আত্মজ্ঞানলাভের পূৰ্ব্বে যে অবিদ্যাবশতঃ তিনি আপনাকে ব্ৰহ্ম হইতে পৃথক মনে করিতেছিলেন, তাহার সেই অবিদ্যা লোপ পায় এবং আত্মজ্ঞানলাভের পূৰ্ব্বেও তিনি ব্রহ্ম ছিলেন,পরেও তিনি ব্রহ্ম থাকিলেন এই জ্ঞান তাহার প্রত্যক্ষ হয়। বৃহদারণ্যকোপনিষদে আরও উক্ত আছে-গাগীকে সম্বোধন করিয়া যাজ্ঞবল্ক্য বলিলেন -এই অক্ষর ক্রুকে না জানিয়া যে ব্যক্তি ইহলোকে সুস্থ বৎসরব্যাপী যজ্ঞ বা তপস্যা করে ত স্থার কৰ্ম্মফুল আন্তবিশিষ্ট অর্থাৎ ভোগ দ্বারা সেই কৰ্ম্মফল কোন না ফো- কালে নি মই ক্ষয় প্রাপ্ত হয় । সুতরাং বে ব্যক্তি ঐ অক্ষর ব্রহ্মকে না জানিয়া মৃত্যু গ্রাসে পতিত হয় সে ব্যক্তি কৃপণ মনুষ্যের দ্যায় শোকের পাত্র । কৃপণ মনুষ্য ধন পাইয়াও হতভাগ্য বশতঃ ধনেম উপযুক্ত ব্যবহার করিতে পারে না। অনাত্মজ্ঞ ব্যক্তিও মনুষ্য জম্ম পাইয়াও হতভাগ্য বশতঃ পুরুষাৰ্থ সম্পন্ন করিতে পারে না। অতএব কৃপণ মনুষ্য এবং অনাত্মজ্ঞ ব্যক্তি উভয়েই শোচ্য। কিন্তু বে ব্যক্তি মৃত্যুর পূৰ্ব্বে সেই অক্ষর ব্রহ্মকে জানিতে পারেন তিনিই যথার্থ ব্ৰাহ্মণ এবং তিনিই সম্যক পুরুষাৰ্থ লাভ করেন । কঠোপনিষৎ বলিয়াছেন— * অজ্ঞানী মনুষ্যগণ অনাত্ম বিষয় সকল কামনা করে এবং নানাভাবে বিস্তীর্ণ মৃত্যুর বশীভুত হয়। বিবেকী পুরুষের একমাত্র ব্রহ্মকেই নিত্য বলিয়া জানেন, সুতরাং উহার ঐহিক অথবা পারলৌকিক ইষ্টা v)