পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ সারল লেদান্ত দর্শন । হয়, অপর একটা সিংহ দেখিয়া এটা সেট হইতে পৃথক্ সেইরূপ অন্ত প্রকার জ্ঞান হয়। আবার সিংহ ব্যাস্ত্র হইতে পৃথক । সিংহ ব্যাঘ্ৰ । ইত্যাদি গো অশ্ব হইতে পৃথক । পশু সকল অন্ত জন্তু সকল হইতে পৃথকৃ। জন্তু সকল উদ্ভিদ হইতে পৃথকৃ। প্রাণিগণ নির্জীব পদার্থ হইতে পৃথক । জড় পদার্থ চিৎ পদার্থ হইতে পৃথক । এই প্রকার জ্ঞেয় বস্তুর পার্থক্যে জ্ঞানের পার্থক্য হইয়া থাকে। একটা জ্ঞেয় বস্তু অন্ত একটা জ্ঞেয় পদার্থ অপেক্ষ যে পরিমাণে শ্রেষ্ঠ বা নিকৃষ্ট সেই প্রথমোক্ত-বস্তু-বিষয়ক জ্ঞান ও সেই দ্বিতীয়-পদার্থ-বিষয়ক জ্ঞান হইতে সেই পরিমাণে শ্রেষ্ঠ বা নিকৃষ্ট । বৃহ, ধাতুর উত্তর মন, প্রত্যয় করিয়া ব্ৰহ্ম শব্দ নিষ্পন্ন হইয়াছে। বৃহ, ধাতুর অর্থ বৃদ্ধি এবং মন, প্রত্যয়ের অর্থ নিরতিশয় । সুতরাং ব্রহ্ম শব্দের ধাতু ঘটিত অর্থ যাহা অপেক্ষা বৃহৎ আর নাই। এই হেতু শ্রুতিতে ব্ৰহ্মজ্ঞান অন্য সমস্ত জ্ঞান হইতে শ্রেষ্ঠ বলিয়া উক্ত হইয়াছে। মুণ্ডকোপনিষদে কথিত আছে যে, একদা মহাগৃহস্থ শৌমক স্বীয় আচাৰ্য্য অঙ্গিরার নিকট উপস্থিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন “কোন বস্তু জানিতে পারিলে সকল বস্তু পরিজ্ঞাত হওয়া যায়” ? উত্তরে অঙ্গিরা ঋষি বলিয়াছিলেন “বেদার্থভিজ্ঞ পরমার্থদর্শীর বলিয়া থাকেন যে, লোকের জ্ঞাতব্য দুই প্রকার বিদ্যা আছে। তাহাদের নাম পর এবং অপরা। ঋগ্বেদ, যজুৰ্ব্বেদ, সামবেদ, অথৰ্ব্ববেদ, শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ, জ্যোতিষ, প্রভৃতি যত প্রকার শাস্ত্র আছে কেবল সে সমস্ত পাঠ বা কেবল গুরু প্রভৃতির উপদেশ গুনিয়া যে বিদ্যা লাভ হয় তাহ অপর বিদ্যা । এই সকল শাস্ত্র অধ্যয়ন এবং গুরু প্রভৃতির উপদেশ শ্রবণ দ্বারা জগতের সমস্ত দ্রব্য, প্রাকৃতিক নিয়মাবলী, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম ও তাহাদের ফল, এবং ব্রহ্মের লক্ষণ সমূহ জানা যায়। অতঃপর পর বিদ্যার বিষয় বলা হইতেছে। এই পরা বিদ্যার দ্বারা জীব সেই অক্ষর ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হয়। সেই ব্ৰহ্মঃ ইঞ্জিয় মন ও বুদ্ধির অতীত। কেবল শাস্ত্রপাঠ ও গুরু প্রভৃতির উপদেশ শ্রবণ দ্বারা তাহাকে জানা