পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 a সরল বেদান্ত দর্শন । অজ্ঞাত ছিল এমন কথাও তিনি বলেন নাই। র্তাহার মত এই ষে এই ধৰ্ম্ম সনাতন। বেদ বেদান্তে চিরকালই এই ধৰ্ম্ম প্রকটিত আছে। তবে সমগ্র শাস্ত্র আয়ত্ত করা অতি দুরূহ ব্যাপার, সেই জন্ত লোকে যাহাতে সহজে সমগ্ৰ শাস্ত্র স্মৃতিপথে রাখিতে পারে তজ্জন্ত স্বত্রগুলি প্রস্তুত হইয়াছে। বাস্তবিক শাস্ত্রের বাক্য সকল উদাহৃত হইয়াই বেদান্তস্থত্র সমূহে বিচারিত হইয়াছে। এই সকল সূত্রের সাহায্যে বেদান্ত বাক্য সকল পুনঃ পুনঃ বিচার করত শাস্ত্রোক্ত মার্গ অবলম্বন পূর্বক তপস্যা করিলে ব্ৰহ্মাবগতি হয়। কেবলমাত্র তর্ক বা অনুমান দ্বারা ব্ৰহ্মাবগতি হয় না । ইন্দ্রিয় পথে সৰ্ব্বদা বর্তমান পদার্থ সমূহের জ্ঞান হইতে আরম্ভ করিয়া ত্ৰহ্মের অপরোক্ষ জ্ঞান পৰ্য্যন্ত জীবের যত প্রকার জ্ঞান হইতে পারে সে সমস্তই প্রমাণ সাপেক্ষ। দ্যায় দর্শন মতে প্রমাণ চারি প্রকার—প্ৰত্যক্ষ, শব্দ, অনুমান এবং উপমান। কিন্তু অনেকে উপমানকে স্বতন্ত্র প্রমাণ বলিয়া গ্রাহ্য করেন না এবং সাংখ্য ও যোগ দর্শনেও উপমান স্বতন্ত্র প্রমাণ বলিয়া গ্রাহ্য হয় নাই। উপমান সাদৃশ্য জ্ঞানের উপর নির্ভর করে। গবয় নামক আরণ্য জন্তু দেখিতে গোরুর মত এই কথা অরণ্যচারিগণের মুখে শুনিয়া অরণ্যে গমন পূর্বক গেী সদৃশ জন্তু দর্শন করিলে “উক্ত জন্তুই গবয়” এইরূপ জ্ঞান হয়। এই জ্ঞানকে উপমান প্রমাণ জনিত বলা যায়। কিন্তু বিশেষ পরীক্ষা করিয়া দেখিলে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, এই জ্ঞান যথার্থও হইতে পারে, ভ্রান্তও হইতে পারে এবং উপমান প্রমাণ অনুমান প্রমাণেরই অন্তর্গত। সুতরাং উপমানকে স্বতন্ত্র প্রমাণ বলিয়া গ্ৰহণ না করাই সঙ্গত। অপর তিনটা প্রমাণ সহজে বুঝাইবার জন্ত একটা আধুনিক দৃষ্টান্ত দেওয়া গেল। আমেরিকা খণ্ডের আবিষ্কারক কলম্বস নামক নাবিক নানা স্থানে ভ্রমণ করিয়া দেখিলেন যে র্তাহার দৃষ্ট সমস্ত জলরাশিরই উভয় প্রাস্তে ভূভাগ বর্তমান থাকে। আটলাণ্টিক মহাসাগরও একটা জলরাশি ও উহার এক দিকে স্থল বর্তমান। সুতরাং কলম্বস অনুমান করিলেন ষে আটলাণ্টিক মহাসাগরের অপর পারেও অবশ্যই ভূখণ্ড থাকিবে। আমে