পাতা:সরল বেদান্ত দর্শন.djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ প্রবন্ধ । \9న স্পর্শ ও শব্দ, এই চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্ব এবং ইচ্ছ, দ্বেষ, মুখ, দুঃখ প্রভৃতি মানসিক সঙ্কল্প সকল শরীর, চেতন, এবং ধৈর্য্য ইহাদিগকে সংক্ষেপে ক্ষেত্র বলা যায়। ইহারা সকলেই বিকারশীল। হে অৰ্জুন ! অন্তর্যামী ঈশ্বর সর্বভূতের হৃদয়দেশে ক্ষেত্রজ্ঞরূপে আছেন। স্বত্রধর সকল দারু যন্ত্রারূঢ় পুত্তলিকাগণকে যেমন আপন আপন ইচ্ছামত চালাইয়া থাকে, ঈশ্বর সেইরূপ বুদ্ধি, মন, ইন্দ্রিয় এবং শরীরাভিমানী জীব সকলকে আপন ইচ্ছামত ভ্রমণ করান। - মন, বুদ্ধি, কৰ্ম্ম ও বাক্যে সৰ্ব্বতোভাবে সেই ঈশ্বরের স্মরণ গ্রহণ কর। র্তাহার অনুগ্রহে আত্মজ্ঞানলাভ করত আপনাকে নিত্যশুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত ব্ৰহ্ম বলিয়া জানিতে পারিবে এবং পরাশাস্তি লাভ করিবে । বরুণদেব পুত্রকে একেবারে আত্মতত্ত্বের উপদেশ দেন নাই। তাহার কারণ এই যে তপস্যা দ্বারা অধিকারী না হইলে জীবের বুদ্ধিতে আত্মজ্ঞান প্রকাশিত হয় না। তবে তিনি পুত্রকে আত্মজ্ঞান লাভের উপায় বলিয়া দিয়াছিলেন। সেই উপায় মত চলিয়া ক্রমশঃ চিত্তের উন্নতিলাভ করত আত্মজ্ঞানে অধিকারী হওয়ার পর ভৃগু মুনির আত্মজ্ঞান হইয়াছিল। আত্মার লক্ষণ ও স্বরূপবাচক শাস্ত্রবাক্য সকল পুনঃ পুনঃ আলোচনা করত শাস্ত্রের উপদেশমত একাগ্রমনে আত্মচিন্তাই আত্মজ্ঞানের একমাত্র উপায় এবং শাস্ত্রপ্রদর্শিত এই উপায় অবলম্বন পূর্বক আত্মজ্ঞান লাভ করাই পরম পুরুষার্থ। অতএব ব্ৰহ্ম শাস্ত্রযোনি এই স্বত্র প্রতিপন্ন হইল। --#:##:#=