পাতা:সরল ব্যাকরণ - প্রথম ভাগ.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( >8 ) ও ঔ এই দুই বর্ণ কণ্ঠ ও ওষ্ঠ হইতে উচ্চারিত হয়, এনিমিত্ত ইহাদের নাম কণ্ঠৌষ্ঠ্য বর্ণ। ঙ ঞ ণ ন ম ইহারা নাসিক সহকারে কণ্ঠ তালু প্রভৃতি হইতে উচ্চারিত হয়, এনিমিত্ত ইহাদিগকে অনুনাসিক বর্ণও বলা যায়। অমুনাসিক বর্ণ যে সকল বর্ণে যুক্ত হয়, তাহাদিগকে সামুনাসিক বর্ণ বলা যায়। বর্ণোচ্চারণ বিধি । প্রতি বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ণের (অর্থাৎ ক খ, গ ঘ, চ ছ জ ঝ, ট ঠ, ড ঢ, ত থ দ ধ, প ফ ব ভ, ইহাদের) পরস্পর উচ্চারণগত প্রায় সমতা বোধ হয়। তবে প্রথমের উচ্চারণে কিঞ্চিৎ সারল্য দ্বিতীয়ের কাঠিন্য বোধ হয়,এই মাত্র বিশেষ। এই কারণেই অনেক কবি এই সকল বর্ণের পরস্পর সমত বোধ করিয়া পদন্তে উহাদের পরস্পর মিলন করিয়া থাকেন । যথা— সারি সারি শাখায় বসিয়ে শারী শুক । শ্ৰীকৃষ্ণ বিরহে কাদে হয়ে অধোমুখ । কিন্তু মহাকবিদিগের মতে এপ্রকার মিলন প্রশংসনীয় নহে । ১। ঙ, ক খ গ ঘ এই চারি বর্ণের পূৰ্ব্বে সংযুক্ত হইলে অনুস্বারের ন্যায় উচ্চারিত হয় । যথা— শঙ্কর, সস্থ্য, গঙ্গ, শঙ্খ ।