পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প এই সময় টেলিফোন বেজে উঠলো। অল্প খানিকক্ষণ কথা বলে শিবশঙ্কর ফোন রেখে সামনের লোকটিকে বললেন-য়্যাটর্নির আপিস থেকে বলচে হরিশ মুখুয্যের স্ট্রটের বাড়ীটা এখুনি দেখতে যেতে হবে । চলুন না বাড়ীটা দেখে আসবেন উভয়ে মোটরে বার হয়ে সোজা হরিশ মুখুয্যে স্ট্রটে সেই নম্বরের বাড়ীর সামনে এসে দেখলেন মিঃ ঘোষাল তাদের পূর্বেই সেখানে মোটর থামিয়ে অপেক্ষা করচেন । বাড়ীর ওপরের নিচের সব ঘর, বাথরুম, দরদালান, ছাদ সব ঘুরে দেখা হলো । মিঃ ঘোষাল বললেন—মতামত দিন মিঃ সরকার } —মতামত আর কি, নেওয়া হবে । -তিন পার্সেন্টের কথা স্মরণ রাখবেন । ও আমাদের একটা সর্ত । নয়তো আমারই হাতে দুটো খদের । আপনি ক্রেতা, আপনার কাছ থেকে কমিশন নেওয়া নিয়ম নয় জানি-কিন্তু এখানে অবস্থা-অনুযায়ী ব্যবস্থা -সে যা হয় হবে । ইলেকট্রিক ইনস্টলেশন নেই কেন ? অত বড় বাড়ী -ছিল । ওয়্যারিং করে নিতে যা খরচ পড়বে তা তো আপনি এমনি বাদ পাচ্চেন। ওই বাড়ী কি দুইয়ের কমে হয়-চার লক্ষ সত্তর হাজার পচাত্তর হাজর তো উইদাউট এনি ডাউট! আপনি বলুন, এখুনি এক মারোয়াড়ী খাদের --না, না, সে কথা বলি নি । আপনি নিশ্চিন্ত থাকুনশিবশঙ্কর একাই আপিসে ফিরলেন, তখন বেলা পৌনে তিন । আপিসের চাকর কারুয়া বললে-হুজুর, টেলিফোন দুবার বাজিয়েছে। হামি লম্বর লিখে রাখিয়েছে। -কই নম্বর ? -হুজুর, ঘরের টেবিলমে আছে। মনুবাবুকে দিয়ে লিখিয়ে Σ, ο Νι