পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরল গল্প মাসে পাঠাইয়া থাকো তাহা আজি দুই মাস বন্ধ হওয়ার কারণ কিছু বুঝিলাম না ; আমরা তোমাদের বংশের কুলপুরোহিত। বর্তমানে অবস্থা দরিদ্র হইয়া পড়িয়াছে। যাহা পাঠাইতেছিলে না দিলে পূজাও বন্ধ হয়, সংসারের সাহায্যও পাওয়া যায় না। অতএব টাকা পাঠাইতে বিলম্ব করিব না। খুড়া মহাশয় সম্প্রতি সুস্থ হইয়া উঠিয়াছেন! পত্রপাঠ টাকা মণিঅর্ডার যোগে পাঠাইবা । বধুমাতাদের আশীৰ্বাদ দিবা । ट्रेउिসাং বাহিরগাছি নিত্যাশীৰ্বাদক 忒夺sa 〔两河博 শ্ৰীহরিসাধন দেবশৰ্মা দাদাকে পড়াইলাম। দাদা বলিলেন -দাও পাঠিয়ে। বদমাশি ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েচে । ব্ল্যাক মার্কেট করতে এসেছে ঠাকুরপূজোয়! সেইদিনই দাদার বড় ছেলে- শুভেন্দু কলিকাতা হইতে বাড়ী আসিল। তাহার পরনে কঁাচি ধুতি দেখিয়া বলিলাম-এ কোথায় পেলি রে ? কত নিলে ? শুভেন্দু প্রেসিডেন্সী কলেজের ছাত্ৰ। দাদার বড় ছেলে। বেশ শৌখীিন। সে হাসিয়া বলিল-ককা, কত বলে তো ? —কি জানি বাপু, আমরা বুড়ো মানুষ। ও সব আগে তো পাঁচ-ছ টাকা ছিল। -ত্রিশ টাকা একখানা। তাও লুকিয়ে এক দোকান থেকে সন্ধ্যের পর কেন । এমনি কোথাও মেলবার জো নেই। ভাল না ? জরির আঁজি দ্যাখো এই সময়ে দাদাও আসিলেন । দুজনেই কাপড় দেখিলাম। দেখিয়া শুভেন্দুর ক্রয়-নৈপুণ্যের যথেষ্ট প্ৰশংসা করিলাম। Σύ