পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৩

অভিয়েন্ত্র অনিদ্ৰা ধীরে ধীরে দীর্ঘ তিনটি বৎসর কোন ফাঁকে কাটিয়া গিয়াছে তাহার হিসাব নাই। অকস্মাৎ একদিন বকুলের সামান্য অসুখের সামান্যভাৰেই সূত্রপাত হইল। বুধবার রাত্রি দুইটায় সে অভয়কে সহসা ডাকিতে লাগিল। অভয় জিজ্ঞাসা করিল, ব্যাপার কি ? বকুল বলিল, আমার বডড শীত করছে। উঃ হুঃ হুঃ । জানালা দরজা সব বন্ধ করে দাও। আমার ঘাডের ওপর লেপ দাও, গায়ের কাপড় দাও, তোশক দাও, গদি দাও, যা কিছু আছে সব দাও । অভয় লেপ দিল, গায়ের কাপড় দিল।। বকুলের শীত তবুও তিলাৰ্থ DBBBD DSSDB SDSD BDBD DBBD DBBDS uBBD DDBDB गांशिश्न-उत्रांद्र3 प्रांस्, ऊांद्र3 प्रां3 । দিবার আর কিছুই অবশিষ্ট রহিল না, তথাপি বকুল কঁাপিতে লাগিল। অভয় তার কপালে হাত দিয়া দেখিল গা যেন পুড়িয়া যাইতেছে। স্ত্রীর অবস্থা দেখিয়া সে মাথায় হাত দিয়া বসিল । এখন এই গভীর রাত্রে সে কি করিবে, করিবাব তাহার কিই বা আছে ? সে কি ডাক্তার ডাকিবে ? ডাক্তারেব কথা স্মরণ হইলে তাহার মনে শিহরণ জাগিল। ডাক্তার কবিরাজ ডাকা তো বিলাসিতার নামান্তর। আর রাত্ৰে নাকি ডাক্তারের ডবল ভিজিট । না, এ সামান্য জ্বরে মানুষের কোন ক্ষতি হয় না। একবার ভাবিল মাথায় আইসব্যাগ দিবে বা কপালে জলপটি দিবে। কিন্তু কোথায় আইসব্যাগ, কোথায় ওডিকেলন। এদিকে বকুল চীৎকার করিতে লাগিল-আমার মাথা জ্বলে গেল, পুড়ে গেল। অভয় বলিল, বেশ তো ভালমানুষ খাওয়া-দাওয়া করে শুলে। হঠাৎ এমন কিই বা অসুখ করল বল দিকি ? এ নিশ্চয়ই ম্যালেরিয়া। আমি হলফ করে বলতে পারি এ ম্যালেরিয়া ছাড়া আর কিছু নয়। বকুল তখন গান জুড়িয়া দিয়াছে, অনর্গল এলোমেলো বকিয়া চলিয়াছে, সজনি, কি পুছসি-ঐ যমুনার কুলে,--শ্যাম কালো, তার S8)