পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প চলিয়া গেল। এইবার একজন বুদ্ধের কণ্ঠস্বর শোনা গেল। মনে তখন বিরক্তি ধরিয়াছে, রাজেনকে বলিলাম, ভিক্ষা না দেয়। কিন্তু তবুও লোকঢ়। কেন দেরি করিতে লাগিল, কেন তবুও যায় না, বার বার একঘেয়ে চীৎকার করিতে লাগিল। বড়ই রাগ হইল। বাহির হইয়া বলিলাম-ভিক্ষে হবে না, চলে যাও—আবার কি ? লোকটি বৃদ্ধ। পরনে একটকর। মলিন নেকড়া, হাতে তে বিড়ানো টিনের মগ। জীৰ্ণ শীর্ণ চেহারা বটে, তবে বাংলাদেশের ভিখারির মত কঙ্কালসার নয় । লোকটা মগটা তুলিয়া টানিয়া টানিয়া বলিল -একটু ফ্যান দ{ও বাবা-বডঙ খিদে পেয়েচে— রাগিয়া বলিলাম--কি আবদার রে ; আবার ভাতের ফ্যান--দেন। বাবা একটুখানি— --ভাগ এখান থেকে ! যাদু-আলবদর দ্য খে{- কোন সকালে রাঃ ! হয়েচে, এখন ফ্যান রয়েচে ওঁর জন্যে । লোকটা হতাশভাবে চলিয়া গেল, আবার লিখিতে বসিলাম । ইহাতে আমার সংস্কারে বাধিল না। প্ৰতিদিনের বরাদ্দ মৃত মুষ্টি-ভিক্ষণ তো দিয়াছি । ক’জনকে দেওয়া যায় ? বোলা বাড়ল, স্নান করতে যাইব । এমন সময় একটি প্রৌঢ় ব্যক্তি গায়ে অর্ধমািলন পিরান, পারে চটি জুতা, হাতে এক গাছ বাঁশের লাঠি, জানালার কাছে দাড়াইয়া বলিল-বাবু, আপনার ব্ৰাহ্মণ ? মুখ তুলিয়। তারের বেড়ার ওপারে চাহিয়া বলিশাম-কেন, কি bाझे ? লোকটা হাত তুলিয়া নমস্কার করিয়া বলিল-ব্ৰাহ্মণেভ্যো 本C卒H প্ৰতি-নমস্কার করিয়া ৰন্সিলাম-কোথেকে আসা হচ্চে ? —বাবু, ঢুকবো বাড়ীর ভেতর ? আমিও ব্রাহ্মণ। SVe