পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ : সরস গল্প -“তুমি এখনও ছেলেমানুষ বিনোদ। ঐ যা শেষকালে বললে ঐ কথাটাই ঠিক । অনেক ধরাধরি করতে হবে। পাচটা চল্লিশের ট্রেনেই যাই ।” ইহার পরের কয়েকদিন রায় বাহাদুর অত্যন্ত ব্যস্ত রহিলেন। রানাঘাট মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, স্কুলের হেডমাস্টার, উকিল, মোক্তার, সরকারী কর্মচারী ও ব্যবসাদারগণের সঙ্গে দেখা করিয়া সব বলিলেন । আশ্চর্যের বিষয় লক্ষ্য করিলেন, সকলেরই যথেষ্ট উৎসাহ, সকলেরই যথেষ্ট আনন্দ। যেন সবাই আকাশের চাঁদ হাতে १ाश्ड 5ब्लिशांछि । বৃদ্ধ মোক্তার অভয়বাবু বলিলেন,-কি নামটি বললেন মশাই সাহেবের ? আ-কি ? আ-ইন স্টাই-না? বেশ বেশ । হাঁ, বিখ্যাত নাম। সবাই জানে। সবাই চেনে।। ওঁরা হলেন গিয়ে স্বনামধন্য পুরুষनाभ (भान। अigछ दक्षेकि ।” রায় বাহাদুর রাগে ফুলিয়া মনে মনে বলিলেন-তোমাদের মুণ্ডু শোনা আছে, ড্যাম ওল্ড ইডিয়ট ! এ তুমি কাপুড়ে মহাজন শ্যামৰ্চাদ পলিকে পেয়েছ ? স্বনামধন্য ! তিন জন্ম কেটে গেলে যদি এ নাম তাের কানে পৌছয়। মিথ্যে সাক্ষী শিখিয়ে তো জন্ম খতম করলি, এখন আইনস্টাইনকে বলতে এসেছে স্বনামধন্য পুরুষ! ইডিয়সির একটা সীমা থাকা চাই। নির্দিষ্ট দিনে রায় বাহাদুর কৃষ্ণনগর কলেজের কয়েকটি ছাত্র সঙ্গে লইয়া সকালের ট্রেনে রানাঘাটে নামিলেন। তঁর শালা বিনোদ চৌধুরী দুঃখ করিয়া চিঠি লিখিয়াছে, বিশেষ কাৰ্যবশত তাহার আসা সম্ভব হইল না, আইনস্টাইনের বক্তৃতা শোনা কি সকলের ভাগ্যে ঘটে, ইত্যাদি। সেজন্য রায় বাহাদুরের মনে দুঃখ ছিল, ছোকরা সত্যিকার পণ্ডিত লোক, আজকার এমন সভায় বেচারীর আসিবার সুযোগ মিলিল 之8