পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऎफूेश् গিয়েচে । তোমার কাব্যের বাজুয়-আলেখ্যও তো হোলো । আমার নাটক কে পড়ে ? -আজকাল বাত্মীয়-আলেখ্যর যুগ চলেচে ভারতবর্ষে। আমার উজ্জয়িনীতে পর্যন্ত দুটি বাজুয়-আলেখার প্ৰেক্ষাগৃহ। এবার যদি এমন সময় কবি সুবন্ধু গুনগুন স্বরে গান করিতে করিতে দেবদারু কুঞ্জের ছায়ায় ছায়ায় এদিকে আসিতেছেন দেখা গেল । সুবন্ধু অনেক ছোট। ইহাদের চেয়ে-দ্বাদশ শতাব্দীর লোক । কালিদাস ও ভাস র্তাহাকে স্নেহের চক্ষে দেখেন । সুবন্ধু দীর্ঘাকৃতি লোক, তঁাহারও শ্বেতশ্ম গ্রু, তবে ভাসের মত বক্ষদেশী লম্বী নয়, হাতে একটা সরু যষ্টি । ভাস বলিলেন, ওহে ছোকরা, শোনো এদিকে । তুমি যাবে। আমাদের সঙ্গে ? সুবন্ধু ভাসের সঙ্গে অত্যন্ত সমীহ করিয়া কথাবার্তা বলেন, ভাস কালিদাসেরও পূর্বাচাৰ্য, সুবন্ধুর মত অপেক্ষাকৃত আধুনিক কবির পক্ষে সেটা স্বাভাবিক। তবে সুবন্ধু মনে মনে এই বৃদ্ধ কবির প্রতি একটি অনুকম্পার ভাবও পোষণ করেন । হয়তো সেটা তারুণোর স্পধাঁ । সুবন্ধু বলিলেন-আজ্ঞে, যাবো। -এখন মর্ত্যে কোনো গোলযোগ নেই তো ? দুইজনই সুবন্ধুকে প্রশ্ন করিলেন । সুবন্ধু যে ঘুরঘুর করিয়া প্ৰায়ই মর্ত্যধামে যাতায়াত করেন। এ সংবাদ দুজনেই রাখেন । ভাবেন তরুণ বয়স, বুদ্ধি পরিপক্ক হইতে এখনো অনেক বিলম্ব, মর্ত্যধামের শৌখিন লাল-বিলাসের বাসনা এখনও তাহার যায় নাই। সুবন্ধু লজ্জিত সুরে জবাব দিলেন-অজ্ঞে, মর্ত্যধামের গোলযোগ মিটাবার নয়। ও লেগেই আছে। তবে তাতে আমাদের কোনো অসুবিধে হবে না । ভাস বলিলেন- সুবন্ধু এখন কি রচনা করচো ? -আজ্ঞে কিছু না । আপনাদের নাম তো মর্ত্যে এখনো যথেষ্ট । আমার নামই তো লোকে ভুলে গিয়েচে । আমার ‘বাসবদত্তা’ এখন 8S