পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জওহরলাল ও গড় সামনেই মালপত্র নামাইয়া জটলা করিতেছে। এঞ্জিনের সামনে ফাস্টসেকেণ্ড ক্লাস কম্পোজিট বগিখানিতে মিলিটারী বোঝাই। তাদের সঙ্গে বহু মালপত্র। কুলীরা ঠেলাগাড়ী আনিয়া মাল বোঝাই করিতেছে! এখানেও তো ভগবানের আসিবার কথা নহে। সংকীর্তন পার্টি কীর্তন থামাইয়াছে। তাহদের কাছে গিয়া বলিলাম —মশায়, ভগবানকে খুজে পেলেন ? উহাদের একজন বলিল-না মশায়, আমরাও তো খুঁজচি । --পেছন দিকটা দেখে এসেচেন ? ---সব দিকে দেখা হয়ে গিয়েচে । -ইণ্টার ক্লাসটা দেখা হয়েচে ? -কোনো ক্লাসই বাদ দিইনি। আমরা । কোথাও তো তেমন কোনো লোককে দেখলাম না মশাই । আমরা বাগবাজার গৌড়ীয় মঠ থেকে আসাচি । আরও খানিকটা অপেক্ষা করিবার পর আমি নিরাশ মনে প্ল্যাটফর্ম হইতে বাহির হইয়া রাস্তায় পড়িলাম। কি মনে করিয়া ট্রাম না। ধরিয়া হাওড়া পুল ধরিয়াই চলিয়াছি, হঠাৎ চোখে পড়িল একজন লোক পুলের মাঝামাঝি রেলিং ধরিয়া অন্যমনস্কভাবে গঙ্গার জলের দিকে চাহিয়া उा6छ । আমি পাশ দিয়া যাইতেছি, লোকটি হঠাৎ আমার দিকে ফিরিয়া চাহিল। লোকটির চেহারায় কি যেন ছিল, দীন-দুঃখীর মত অকিঞ্চন ভাব মুখে, অথচ চোখ-দুটিতে অতলস্পর্শ গভীরতা ও বালকোচত সারল্য একসঙ্গে মাখানো। আকৃষ্ট হইয়া পড়িলাম ওর এই মুখ-ভাবের আশ্চৰ্য পবিত্রতা ও সরলতায় । বলিলাম-কোথায় যাবেন ? লোকটি গঙ্গার দিকে হাত দিয়া দেখাইয়া বলিল-এই নতুন পুল বুঝি ? 一袭T11 金や