পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6ཙམ-Jifརྒྱག--ཡ-Jif་རྒྱག། --বেশ বেশ, আমি সন্ধ্যের পর আসব। --ও তা বেশ । তবে বোধ হয় ফিরতে একটু দেরিও হবে। না হয় আমি একটু রাত করেই আসব এখন। আপনারা অনেক উচু বিষয়ে কথাবার্তা বলেন-আমার শুনতে বড় ভাল লাগে। এই জন্যেই আমি বাঙালীদের সঙ্গে মিশতে বড় ভালবাসি । তা এখানে বাঙালী বেশি নেই-যারা আছেন, তঁরা বড় মেশেন না । এই ধরনের নিবুদ্ধিতার পরিচয় দেওয়ার দরুন আমরা তাহাকে ‘মূলে’ আখ্যা দিলাম এবং তাহার সাক্ষাতে পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে বাংলায় তাহাকে ‘মূলো’ বলিয়া উল্লেখ করিতাম। কখনও কখনও ‘মূলো’র ইংরেজি অনুবাদ করিয়া তাহার সামনেই তাহাকে “র্যাডিশ’, কখনও হর্স র্যাডিশ’ বলিতাম । বেচারা আমাদের বাংলা কথার অর্থ একবৰ্ণও বুঝিত না । ‘মূলো” কথার ইডিয়মগত অর্থই বা বুঝিবে করূপে। মাঝে মাঝে আমাদের মুখে “র্যাডিশ’, ‘হর্স র্যাডিশ’ শুনিয়াও কিছু না বুঝিয়া হয়তো ভাবিত-ইহার এ তিনটা কথা এত ব্যবহার を করে কেন ? আমরা আর একটি জিনিস লক্ষ্য করিলাম। ফোর্থ ইয়ারের ছাত্ৰ বটে, কিন্তু ‘মূলো’র বিদ্যাবুদ্ধির দৌড় বিশেষ নয়, একজন ভাল বাঙালী ম্যাট্রিক ছাত্র তাহার অপেক্ষা অনেক কিছু জানে। বলা বাহুল্য অবাঙালী ছাত্রদের সম্বন্ধে ধারণা স্বভাবত খুব উচ্চশ্রেণীর নয়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আর নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় ? রামো, এখানে মানুষ আছে কে ? 始 আমাদের এই মনোভাবের পটভূমিকায় আসিয়া উপস্থিত হইলে মূলোর ন্যায়। একজন স্থূলবুদ্ধি ছাত্রের যে দুর্দশা এরূপ দাড়াইবে আমাদের বিচারের মাপকাঠিতে ইহা আর বেশি কথা কি ? মজার ব্যাপার এই, যাহাকে লইয়া এই ব্যাপার সে কিছুই বুঝিত না । বরং ভাবিত, আমাদের মত অমায়িক বাঙালী ভদ্রলোকদের সঙ্গে VO)