পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विडूख्छूिषन : नवन शब्र জিজ্ঞেস করিলাম-কোথায় ? —লিস সোরাবাজির বাড়ীতে চায়ের নিমন্ত্রণ । -আমরা কেন ? --আপনাদের নিয়ে যাবার জন্যে আমাকে অনুরোধ করেছেন ওঁর বাবা । আমরা বিকালে সাজগোজ করিয়া বসিয়া আছি, মূলো আর কিছুতেই আসে না । নবীনবাবু বলিলেন -ওহে, মূলোটার মতলব শুনে আমাদের হাইল্যাণ্ড ড্রাইভে বেড়াতে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল দেখছি। ও (sigil si | এমন সময় মূলে আসিয়া হাজির হইল-সে নিখুঁত সাজপোশাক করিয়া কোটের বোতামে গোলাপ ফুল গুজিয়া রুমালে এসেন্স ঢালিয়া আসিয়াছে এবং বোঝা গেল যে, সে কিছু পূর্বে নাপিতের দোকান হইতে চুলও কাটিয়া আসিয়াছে। মিস সোরাবাজির পিতা এখানকার ডাক্তার। পূর্ব হইতেই পৃষ্ঠাহার সাহিত আমাদের পরিচয় ছিল-বুদ্ধ অতি অমায়িক লোক। দেখিলাম তিনি শুধু আমাদের তিনজনকে চা-পার্টতে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছেন তাহা নহে, শহরের আরও আট-দশটি ভদ্রলোককে বলিয়াছেন—তাহার পুত্রের জন্মতিথি উৎসব চা-পার্টির আসল কারণ। মিস সোরাবাজি আঠার-উনিশ বছরের একহারা মেয়ে, আমরা তাহাকে অনেকবার দেখিয়াছি। খাড়ার মত উচু সূচাল নাকের জন্য কোনদিনই মিস সোরাবজিকে বিশেষ সুন্দরী বলিয়া আমার মনে হয় নাই—যদিও রং বেশ ফরসা ও গলার সুর কষ্টকৃত মেমসাহেবিয়ানার দোষমুক্ত না হইলেও মন্দ নয়। মেয়েটি নাকি লেখাপড়াতে ভাল। একটা জিনিস লক্ষ্য করিলাম আমরা দুজনেই। মিস সোরাবাজি মুলোর প্রতি বিশেষ আকৃষ্ট—অন্তত হাবভাবে আমাদের তাঁহাই মনে হইল। বাহিরের বারান্দায় দুজনে নির্জনে মাঝে মাঝে যাইয়া দাড়াইতে ԳՀ