পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ ; সরস গল্প মহাবার । জগৎকে বেদান্ত শিক্ষা দেবার জন্য, এই পরম সত্য প্রচার করিবার জন্য তিনি লীলাদেহ ধারণ করিয়াছেন-ক্রমে একথাও ধীরে ধীরে হরিদাসবাবুর মনের নিভৃত কোণে বাসা বাধিতে লাগিল। হরিদাস মাস্টার ব্ৰাহ্ম । এক আধাদিন নয়, সাতদিনে বইখানি অন্ততঃ পাচবার পড়িলেন । খাতা দেখিবার জন্য ফোর্থ ক্লাসের নুরুল হকের নিকট হইতে যে নীল পেন্সিলটা আনিয়াছিলেন, তাহ দিয়া দাগ মারিয়া পড়িলেন, ছেলেদের পরীক্ষার কাগজ হইতে সংগৃহীত সাদা কাগজে অনেক ভালো কথা টুকিয়া রাখলেন, রাত্রি জাগিয়া বইখানার মধ্যে উদ্ধৃত অনেক ংস্কৃত শ্লোক কণ্ঠস্থ করলেন, মোটের ওপর বইখানি লইয়া মশগুল হইয়া রহিলেন । ধন্য শ্ৰীপতি কুণ্ডু ! তুমি বালকমাত্র, তুমি জানো না। দুঃস্থ, হতভাগ্য শিক্ষকের জীবনে তুমি কি জিনিস দিলে। এ অনেকটা সেই ঘটনার মত । হরিদাসবাবু ও তাহার এক বন্ধু পায়ে হাঢ়িয়) বৈদ্যাবটি বেড়াইতে গিয়াছিলেন, দুপুর ঘুরিয়া গেল, দু’জনেই অভুক্ত । অবশেষে কোথাকার বাজারের এক অপকৃষ্ট তো ঢেলে তাহার। পিতলের থালায় মোট চালের ভাত খাইতে বসেন। তখন দুপুর অনেকক্ষণ ঘুরিয়া গিয়াছে । তাহার বন্ধুটি দারুণ ক্ষুধার মুখে ভাত পাইয়া মহা খুশি, খাইতে খাইতে গদগদ কণ্ঠে বার বার বলিতে লাগিল-হরিদাস তুমি জানো না সিস্টেমকে তুমি কি দিলে ! হারদাসবাবুর বড় মনে ; ছল কথা। ঢ। { শ্ৰীপতি কুণ্ডু তুমিও জানো না, হরিদাসবাবুকে তুমি কি দিলে । এই সাতদিনে হরিদাসবাবু সম্পূৰ্ণ বদলাইয়া গেলেন। এসব বাণী পৃথিবীতে আছে তাহাকে কেহ বলে নাই। তিনিই বা কি করিয়া জানিবেন ? স্কুলে গিয়া শ্রপাত কুণ্ডুকে জিজ্ঞাসা করিলেন-হঁ্যারে, ও বই