পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতিভূষণ : সরদ গল্প নবীনদা বাংলায় বলিলেন-ওর তাহলে বড় সুবিধে হয়, দুবেলা দেখা হয়। কিনা। মূলোর কাণ্ড দেখা-সাধে কি বলে হর্স র্যাডিশ । মুলো মিস সোরাবাজির সঙ্গে কথা কহিতে অন্যমনস্ক ছিল, নবীনদার বাংলা কথা শুনিতে পাইল না—নতুবা বলিত, হোয়াট। কি বললে दां१छ्itऊ ? আমি ভদ্রতা বজায় রাখিয়া বলিলাম-শেখালে তো বেশ হোতকিন্তু আমাদের সময় নেই। কিনা। দুজনকে টো টাে করে সারাদিন নিজের কাজে বেড়াতে হয়, নইলে এ তো বড় আনন্দের কথা । আমরা গোরেওয়াড়ার জলে নামিয়া সবাই সুন্নান করিলাম, মিস সোরাবাজি পৰ্যন্ত । দুপুর ঘুরিয়া গিয়া একদিকে ছায়া পড়িয়াছে।-- এখনও সেদিনকার সেই দিনটি চোখের সামনে যেন ভাসিতেছে-একদিকে অনুচ্চ কালো পাথরের পাহাড়, অন্যদিকে শিউলি ও তিন্দুক গাছের সারি, দু-দশটা বড় বড় শালও আছে। আকাশে খর রৌদ্র, দুপুরের রোদে ঝাঁক-ঝক করা চোখ-ঠিকরানো ছোট ছোট ঢেউ-এর সারি হ্রদের বুকে, অথচ এপার অনেকখানি ছায়াসিক্ত। আঁটসাট সুস্থানের পোশাকে শুভ্ৰদেহ কৃশাঙ্গী ভেনাসের মত পার্শী তরুণী জালু শৈলবেষ্টিত হ্রদের নীল জল হইতে উঠিতেছে-দূরে ওপারে গোরেওয়াড়ার উচু পাড়ের উপর একটা বাংলো ধরনের বাড়ী, বোধ হয় এক ডাকবাংলো । আমরা রান্না করিয়া সুন্নান করিতে গিয়াছিলাম, মিস সোরাবাজির নিজের হাতে রান্না ভাত ও ডাল, কিছু মাংস, দু’একটা ভাজা। পাশী ধরনের মুন দিয়া রান্না ভাত ও মশলাবিহীন সাদা রঙের মাংসের স্ট, ও বেশনে টোমাটাে ভাজ-সবগুলিই আমার মুখে সমান অখাদ্য । ভাগ্যে বুদ্ধি করিয়া নবীনদা কিছু আচার আনিয়াছিলেন-তাই দিয়া গ্ৰাস কয়েক ভাত খাওয়া গেল। মুলো পোষা কুকুরটির মত মিস সোরাবাজির পিছনে পিছনে ঘুরিতে লাগিল এবং তাহার রান্নার প্রশংসায় Գեր