পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূলো-র্যাডিশ-হার্স র্যাডিশ ११भूथ श्व टठेिल। একটা জিনিস লক্ষ্য করিবার মত বটে- দেখিলাম তাহার বাঙালীপ্ৰীতি তাহার প্রণয়িনীর প্রতি ভালবাসা অপেক্ষা কম নয়। বাঙালীর সব-কিছুর সে আজ ভক্ত, আমাদের কত কি ব্যাপারের প্রশংসা সে শতমুখে যদি বলিতে পারিত তাহার প্রণয়িনীর নিকট-তবে যেন তাহার তৃপ্তি হইত। বলিল, জান জালু, ওঁরা বাংলাতে মূলো কথার বড় ব্যবহার করেন, প্ৰায়ই ওরা বলেন র্যাডিশ-আমি শিখে নিয়েছি, একটা বাংলা ইডিয়ম, মানে “খুব ভাল’ । নবীনদা অনুচ্চ স্বরে বললেন, মরেছে। হতভাগা ! মিস সোরাবাজি আমাদের দিকে চাহিয়া কৌতুহলের সুরে বলিল - ও, হাউ ইণ্টারেস্ট্রিং। সত্যি মিঃ রায়—আপনারা বুঝি—ইত্যাদি। মেয়েটিকে যা তা বুঝাইয়া ও অন্য কথা পাড়িয়া চাপা দিলাম জিনিসটা । খেলা। তিনটার সময় আমাদের মোটর নাগপুর হইতে ফিরিয়া গোরেওয়াড়ার ওপারে আসিয়া ভেঁপু দিল। সকালে পৌছাইয়া দিয়া গাড়ী দুখান চলিয়া গিয়াছিল। আমরা যাওয়ার উদ্যোগ করিতে মিস সোরাবাজি বলিল-সূৰ্যােস্তটা দেখে যাবেন না ? -ওদিকে দেরি হয়ে যাবে ফিরতে- আপনার বাবা কি ব্যস্ত হয়ে উঠবেন না ?

  • -কিছু না মিঃ রায়, ভাববেন না । আমি বলে এসেছি-আমি ওই পাথরের ওপর থেকে দেখব সূৰ্যাস্তটা । তুমি এস না শুকরাম।

--যেমন ইচ্ছে আপনার । শীগগির আসবেন । অদ্ভুত সূর্যস্ত। এখানে আসিয়া অবধি হাইল্যাণ্ড ড্রাইভ হইতে সাতপুৱা শৈলমালার দিকে প্রায়ই দেখিতেছি। সন্ধ্যার ছায়া নামে, আমি সামান্য শৈত্যের জন্য গরম আলোয়ান ভাল করিয়া গায়ে টানিয়া দিই, হাইল্যাণ্ড ড্রাইভে সাহেব মেমব্দের মোটরের ভিড় বাড়ে, ԳS