চতুর্থ অঙ্ক । >>ぐ লক্ষ্মণ । মাত; চতুভূজে ! তুমি কি আমার কস্তার রক্তের জন্য নিতান্তই লালায়িত হয়েছ ?—ত যদি হ’য়ে থাক, তা হ’লে আমার সাধ্য নাই যে, আমি তাকে রক্ষা করি – কোন মনুষ্যের সাধ্য নাই যে, তাকে রক্ষণ করে ; যাই হোক, আমি আর একবার চেষ্টা ক’রে দেখব । ( রাজমহিষী, সরোজিনী, মোনিয়া, রোষেনার, রামদাস, সুরদাস ও প্রহরীগণের প্রবেশ । ) লক্ষ্মণ । (মহিীর প্রতি ) এই লও দেবি ! সরোজিনীকে আমি তোমার হাতে সমর্পণ কল্লেম ; ওকে নিয়ে এই দয়াশূন্ত কঠোর স্থান হ’তে এখনি পলায়ন কর । কিন্তু দেখ দেবি ! এর পরিবর্তে আমার একটী কথা তোমায় শুনতে হবে। সরোজিনীর সঙ্গে বিজয়সিংহের কখনই বিবাহ দেওয়া হবে না, সে আজ আমার অবমাননা করেছে। (সরোজিনীর প্রতি) দেখ বৎসে ! তুমি যদি আমার কন্ঠ হও, তা হ’লে বিজয়-সিংহকে জন্মের মত বিস্তৃত হও । সরোজিনী। (স্বগত) হা! আমি যা ভয় ক’চ্ছিলেম, তাই দেখছি ঘটল । লক্ষ্মণ । দেখ মহিষি ? রামদাস, সুরদাস ও এই প্রহরীগণ ভোমাদের সঙ্গে যাবে। কিন্তু দেখ, এ কথার বিন্দু বিসর্গও যেন প্রকাশ না হয় । অতি গোপনে ও অবিলম্বে এখান হ’তে প্রস্থান কর । রণধীর সিংহ ও ভৈরবাচাৰ্য্য যেন এ কথা কিছুমাত্র জানতে না পারে ;
পাতা:সরোজিনী নাটক.djvu/১২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।