সরোজিনী নাটক । ماده মোনিয়া। সখি ! আমাদের এখানে থেকে আর কি হবে ? চল না-আমরাও ওদের সঙ্গে যাই । রোফেনার। না ভাই! আমাদের একটু অপেক্ষা ক'ত্তে হবে, আমার এখন এই প্রতিজ্ঞ, হয় আমি মরব, নয় সরোজিনী মরবে। ” তায় ভাই, ওদের পালাবার কথা ভৈরবচার্য্যের কাছে প্রকাশ ক’রে দিই গে। এই যে ! ভৈরবাচাৰ্য্যই যে এই দিকে আস্চেন—তবে বেশ সুবিধে হ’ল। (ভৈরবচাৰ্য্য ও রণধীরসিংহের প্রবেশ।) ভৈরব । সরোজিনীকে এখনও যে মহারাজ মন্দিরে পাঠিয়ে দিচ্চেন না, তার অর্থ কি ? রণধীর। তাই তো মহাশয়, আমি তে এর কিছুই বুঝতে পাচি নে। তবে বুঝি মহারাজের আবার মন ফিরে গেছে। তিনি যে রূপ অস্থির-চিত্ত লোক, তাতে কিছুই বিচিত্র নয়। ভাল, ঐ স্ত্রীলোক দুটকে জিজ্ঞাসা ক'রে দেখা যাকৃ দিকি, ওরা বোধ হয় রাজকুমারীর সহচরী হবে। ওগো! তোমরা কি মহারাজের অন্তঃপুরে থাক ? - রোমেনার। হা মহাশয়!—আমরা রাজকুমারীর সহচরী। রণধীর । তোমরা বাছা বলতে পার, রাজকুমারী এখনও পর্য্যস্ত মন্দিরে আস্চেন না কেন ? রোষেনারা । তারা যে এই মাত্র চিতোরে যাত্ৰা ক’ল্লেন।
পাতা:সরোজিনী নাটক.djvu/১২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।