আমার কাছে এস,—তোমার কোন ভয় নেই। আমি তোমাকে কিছু ব’লব না। (নিকটে অগ্রসর)
সরোজিনী। নরাধম, ঐখানে দাড়া, আর এক পাও অগ্রসর হোস্ নে—
আল্লা। বেগম, তুমি অবলা স্ত্রীজাতি, তোমার এখানে কেহই সহায় নেই, আমি মনে ক’ল্লে কি বলপূর্ব্বক তোমাকে নিয়ে যেতে পারি নে?
সরোজিনী। তোর সাধ্য নেই।
আল্লা। দেখ বেগম, সাবধান হয়ে কথা কও,—আমার ক্রোধ একবার উত্তেজিত হ’লে আর রক্ষা থাকবে না।
সরোজিনী। রাজপুত মহিলা তোর মত কাপুরুষের ক্রোধকে ভয় করে না।
আল্লা। দেখ বেগম, এখনও আমি তোমাকে সময় দিচ্চি, একটু স্থির হয়ে বিবেচনা কর, যদি তুমি ইচ্ছা পূর্বক আমার মনস্কামনা পূর্ণ কর, তা হ’লে তোমাকে আমি অতুল ঐশ্বর্য্যের অধীশ্বরী করব, নচেৎ -
সরোজিনী। যবন-দস্যু, তোর ও কথা বলতে লজ্জা হ’ল না? সূর্য্যবংশীয় রাজা লক্ষ্মণসিংহের দুহিতাকে তুই ঐশ্বর্য্যের প্রলোভন দেখাতে আসিস?
আল্লা। বেগম, তুমি অতি নির্ব্বোধের মত কথা ক’চ্চ। আমি পুনর্ব্বার বলচি, আমার ক্রোধকে উত্তেজিত ক'র না। তুমি কি সাহসে