বিজয়। দেবি! মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে তিনি এই ব’ল্লেন যে, তিনি জনরবের কথায় প্রবঞ্চিত হয়েছিলেন, এখন তার মন হ’তে সকল সংশয় দূর হয়েছে। তিনি অধিক কথা না ক’য়েই আমায় গাঢ় আলিঙ্গন দিলেন, আর বিবাহের সমস্ত উদ্যোগ ক'ত্তে তখনই আদেশ ক’ল্লেন। রাজমহিষী! আর একটী সুসংবাদ কি শুনেছেন? দেবী চতুর্ভূজাকে প্রসন্ন করবার জন্যে একটা মহা যজ্ঞের আয়োজন হচ্চে, শত-সহস্র ছাগ আজ নাকি তার নিকট বলিদান হবে। যজ্ঞানুষ্ঠানের পরেই আমাদের বিবাহ কার্য্য সম্পন্ন হবে, তার পরেই আমরা সকলে যুদ্ধযাত্রা করব।
রাজ-ম। যুদ্ধে যেন জয়ী হও, এই আমার আশীর্ব্বাদ। বাছা! তোমাকে আমি পর বলে ভাবিনে, তোমাকে ছেলেব্যালা থেকেই আমি দেখছি, তুমি তখন সর্ব্বদাই আমাদের প্রাসাদে আসতে,— মহারাজ তোমাকে আমার নিকট অন্তঃপুরে পাঠিয়েদিতেন,—সরোজিনীর সঙ্গে তুমি কত খেলা কত্তে, কতকি গল্প কত্তে—মনে পড়ে বাছা? তখনই আমি মনে কত্তেম যে, আহা! যদি এই দুটি ছেলে মেয়ের বিবাহ হয়, তা হ'লে বেশ হয়; তা বাছা! বিধাতা এখন আমার সেই সাধ এত দিনের পর পূর্ণ ক’ল্লেন। বাছা, তুমি এখানে একটু থাক, আমি সরোজিনীকে ডেকে নিয়ে আসি।
বিজয়। যে আজ্ঞা।