পাতা:সরোজ বালা.pdf/২৮

সরেজ-বালা । २५ মুরেশ —তবে আপনি আমাদের কি করিতে বলেন ? কি করিলে আপনার ভাল হয় ? বিমাতা -আমি স্ত্রীলোক অতশত কথা জানি না। আমি বলি ভোমরা এখন এই বাড়ীতেই থাক । কিন্তু আহারের সংস্থান আপনাদিগকেই করিতে হইবে । আমি আর তোমাদিগকে খাওয়াইতে পরিব না।” বিমাতার মৰ্ম্মভেদী এই বাক্য শ্ৰবণ করিয়া, স্বরেশবাবু বিষম বিপদে পড়িলেন। ক্ষণকাশ ঙ্কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া সেই স্থানেই দণ্ডায়মান রহিলেন । অবশেষে আর কোন কথা না বলিয়া ধীরে ধীরে আপন কক্ষে গমন করিলেন । তাহার বিমর্ষ বদন দর্শন করিয়া তাঙ্কার সহধৰ্ম্মিণী অমিয়াও দুঃখিত হইল । সুরেশবাবুর সৰ্ব্বদাই হাস্যমুপ থাকিত! কখনও কোন কষ্টে ণ্ঠাহাকে ইতিপূৰ্ব্বে আর বিমর্ষ দেথা যায় "ই। যে ব্যক্তির ধৰ্ম্মে মতি আছে, ধৰ্ম্মই র্যাহার একমাত্র উর্দ্যশ্য, পরোপকারই র্যাহার জীবনের প্রধান কাৰ্য্য তাহার মন কি কখন সামান্য হঃপে ব। শোকে বিচলিত হয় ? কিন্তু আপাততঃ উাহার যে কল্প হইয়াছে সে ডায়ার নিজের জন্য নহে । তিনি যদি একান্ধী ইইতেন, যদি সরলা ও অমিয়া না থাকিত তাছা কষ্টলে fতনি এ কই গ্রাu্য করিতেননা । কিরূপে অমিয়াকে পালন কৰিবেন, এই চিন্তাই তাহার মাপাততঃ মনোকষ্টের প্লং:ম কারণ । তাহার উপর সরল আছে। লেও বালিক মাত্র । পিতৃমাতৃহীন বালিকাকে তাহার শ্বশুরালয়ে প্রেরণ করাষ্ট্র হুরেশ্ববাবুর এখন অবশ্য কৰ্ত্তব্য মধ্যে পরিগণিত ইষ্টাছে । কিন্তু সে বালিকাকে একদিনের জন্যও স্বরেখবাৰু তাছার থের