পাতা:সর্ব্ববেদান্ত-সিদ্ধান্ত-সার-সংগ্রহঃ.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Με এরলবেগের সম্মুখে দাড়াইতে সমর্থ হইলেন না। তখন আর ভগবান্‌ স্থির থাকিতে পারলেন না ; তাহার হৃদয়ে অধৰ্ম্মের ঘোরতর প্রতিঘাত হইতে লাগিল। তিনি যে-“বদ যাহি ধৰ্ম্মস্ত গ্লানির্ভবতি ভারত ! অত্যুথানমধৰ্ম্মস্ত তাত্মানং স্বজাম্যহম। পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কতা। সংস্থাপ নর্থায় সম্ভবমি যুগে যুগে।” এই প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন, তখন তাহা স্মৃতিপথে সমান্ধঢ় হইল। অবিলম্বে দাক্ষিণাত্য কেরলদেশ নিজ জন্মদ্বারা অলঙ্কত করিলেন। ঘোর অমানিশার মধ্যে যেন উষার ক্ষীণালোক দেখা দিল। গুরুপক্ষীয় শশধরের ন্যায় বালক দিন দিন বদ্ধিত হইতে লাগিল। বদনমগুলে যেন মূৰ্ত্তিমতী প্রতিভা লীলা করিতে লাগিল; অল্পকাল মধ্যেই বালক বেদাদিবিষ্ঠায় পারদর্শী হইলেন। কিন্তু তাহার সংসারের প্রতি সাতিশয় বৈরাগ্য জন্মিল ; তিনি সৰ্ব্বদাই সংসারের অনিত্যতা দর্শন করিতে লাগিলেন। অবশেষে সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণই তাহার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হইল। কিন্তু তিনি দেখিলেন,—র্তাহার বিধবা জননী সন্ন্যাসের পরিপন্থিনী। তখন তিনি এক উপায় অবলম্বন করিয়া জননীর অনুমতি লইয়া সৰ্ব্বোত্তম সন্ন্যাসধৰ্ম্ম গ্রহণ করিলেন। যদ্যপি “যদহরেব বিরুজ্যেং তদহরেব প্রব্রজেং” এই শ্রতিদ্বারা তীব্রবৈরাগ্যশালী পুরুষ কাহারও অপেক্ষা না করিয়া তৎক্ষণাৎ সন্ন্যাসগ্রহণ করিবেন, যদি চ ভগবৎপাদ ইহা অবগত ছিলেন, তথাপি তিনি লোকশিক্ষার জন্ত মাতার আদেশ প্রতিপালন করিয়াই সন্ন্যাসগ্রহণ করিলেন। জগতে পিতামাতার স্থায় গুরু আর কেহ নাই, ইছা জগদবাণীদিগকে শিক্ষা দিবার জন্তই তিনি এইরূপ রীতি অবলম্বন করিয়াছিলেন। অনন্তর ভগবান শঙ্করাচার্য গোবিন্দপাদের নিকট শিষ্যত্ব স্বীকার করিয়া গুরুলন্ধ বিস্কার প্রকর্ষ প্রদর্শন করিলেন এবং গুরুর পূজা ও সেবা করিয়া সকলকে তাহা শিক্ষা দিলেন। তাহার পর তিনি vকাশীধামে অবস্থান করিয়া শিষ্যদিগকে বেদান্তের উপদেশ প্রদান করিয়াছেন। এইরূপে তিনি উপনিষাভাষ্য, , ব্রহ্মস্বত্রভাষা ও গীতাভাষ্য এবং নানাবিধ গ্রন্থ রচনা করিয়া বেদান্তের মুখ্য তাৎপৰ্য্য জনগণসমীপে প্রকটত করিয়াছেন। যে সনাতন বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম একদা বৌদ্ধবিপ্লবে মলিনভাব ধারণ করিয়াছিল, এমন কি সনাতন আর্য্যধর্মের নাম লুপ্তপ্রায় হইয়াছিল, এ হেন দুঃসময়ে ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্য আবির্ভূত হইয় কুমারিকা হইতে হিমাদ্রি পর্যন্ত সমগ্র ভূখণ্ড বর্ণাশ্রমধর্মের ভিনাদে ੱਚ করিলেন। ভারতের চরিপ্রান্তে দুৰ্গস্বরূপ চারটি মঠ সংস্থাপন পূর্বক স্বয়ং