পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! Ö3b፡ পরমাত্মসন্দর্ভের যথা,-“এইরূপ এই সুপ্ত, সম্যক্ প্রসন্ন আত্মাও এই শরীর হইতে পৃথক্ হইয়া পরম জ্যোতীরূপ প্রাপ্ত হয়েনি। সেই সময়ে ইনি উত্তম পুরুষ হয়েনি।”-( ছাঃ, উঃ, ৮৷৷১২৩) । স্বত্রন্থ “আবিভূতিস্বরূপ”; এই পদ বহুব্রীহি সমাস-নিষ্পন্ত হইয়া জীবরূপেই অভিহিত হইয়া آئی۔ থাকেন। (আবির্ভূত হইয়াছে শরীর ইহার, এই' অর্থে আবিভূতিস্বরূপ-জীব।-শাঙ্কর ভাস্থ্য । ) এ স্থলে “পরমাত্মাৰ্থ” করা কষ্টকল্পনাজনক। ال মৈত্ৰেয়ী ব্রাহ্মণেও উক্ত হইয়াছে, আত্মকামনাতেই সকল প্রিয় হয়। সেই এই আত্মা দ্রষ্টব্য। ইত্যাদি উপনিষদবাক্যে প্রদর্শিত হইয়াছে যে, জীবই দ্রষ্টব্য, এই নির্দেশ করিতে যাইয়া পীরে 1 - ܪ জীবেরই পরমাত্মত্ব প্রদর্শন করিয়াছেন, ইহাই সাধারণতঃ প্রতীত হয়। কিন্তু বাস্তবিক অর্থ তাহা নহে। কেন না, জীবাত্মা পরমপুরুষের আবিভূতিবিশেষ । ইহার যথার্থ স্বরূপ পরমপুরুষ। আত্মাকে জানিতে হইলে পরমপুরুষকে জানিতে হয়। সুতরাং অগ্রে পরমপুরুষের জ্ঞানোপযোগী জীবাত্মার উপদেশ করিয়া, পুনৰ্বার “আত্মা বৈ” ইত্যাদি বাক্য দ্বারা পরমাত্মাকে অমৃতরূপে জানিতে হইবে, এই উপদেশ করা হইয়াছে। “সেই মহাভূতের নিশ্বসিত এই ঋগ বেদাদি” ইত্যাদি শ্রুতি পরমাত্ম প্রতিপাদক । এই অভিপ্রায়ানুসারেই স্বয়ং শুকদেব লিখিয়াছেন,-“এই হেতু স্বীয় আত্মা প্রিয়তম।” (শ্ৰীভাগবত, ১০ ১৪৫২ )। এই কথা বলিয়া পরে লিখিয়াছেন,-“এই শ্ৰীকৃষ্ণকে নিখিল | আত্মার আত্মা বলিয়া জানিও।”- ( শ্ৰীভাগবত, ১০:১৪,৫৩)। শ্ৰীভগবান অখিলের আত্মা । সেই হেতু স্বীয় আত্মাও প্রিয়তম । সুতরাং জীবাত্মা পরমেশ্বরের স্বরূপ হইতে ভিন্ন । যদি বল, পরমেশ্বরের স্বরূপ হইতে আত্মা ভিন্ন, তাহা হইলে একটি ব্ৰহ্মসূত্রের বৈয়ার্থ কল্পনা হয়। "যাবৎ বিকারাত্ত বিভাগে লোকবৎ” (ব্ৰহ্মস্থা, ২/৩৭) ভিন্নত্ব স্বীকার করিলে আত্মার বিকারত্বপ্রাপ্তি স্বীকার করিতে হয়। (ব্রহ্মসূত্রটির অর্থ এই যে, লৌকিক বিকারের ন্যায় শ্রুতিতেও বিকার পর্যন্তই বিভাগ করিয়াছেন। বিভাগ শব্দের অর্থ উৎপত্তি। ) যাহ্বা উৎপন্ন, তাত বিকারী। আত্মাকে জন্য পদাৰ্থ বলিয়া স্বীকার করিলে ইহাকেও বিকারগ্রাপ্তির অধীন হইতে হয়। সুতরাং আত্মাকে যদি একমাত্র নিত্য ব্ৰহ্ম হইতে ভিন্ন বলা যায়, তবে ইহা বিকারী না হইবে কেন ? এতদুত্তরে বক্তব্য এই যে, আত্মা বিকারশীল পদার্থের সমধৰ্ম্মক ܠܐ নহে । বিকারশীল জড়াদি বস্তু হইতে আত্মার যে বৈধৰ্ম্ম্য আছে, তাহা স্বতঃসিদ্ধ। তজ্জন্ত কোনও প্রমাণের অপেক্ষা নাই। ܐ আত্মা প্রমাণাদি বিকার-ব্যবহারের আশ্ৰয়স্বরূপ। আত্মপ্রত্যয় না হইলে কোনও প্রমাণাদি বিকার ব্যবহার হয় না। আত্মপ্রত্যয় তৎপূর্বেই সিদ্ধ হয়। সুতরাং বিভাগযুক্ত- ' ' লব্ধ ন্যায়ের অবতরণ এখানে হইতে পারে না। এ বিষয়ে আমাদের এমন নিত্যন্ত্ৰ, শ্রুতি আছে, যাহাতে বৈকুণ্ঠাদি বস্তুরও নিত্যত্ব সম্বন্ধে উপদিষ্ট হয়। আত্মা যে উৎপন্ন নহেন এবং তাহার সম্বন্ধে যে বিকারিত্ব প্রভৃতি দোষের আশঙ্কা নাই, এ সম্বন্ধে স্পষ্টতঃ ব্রহ্মস্বত্র এই যে, , ! “নায়ু শ্রীতেনিত্যত্বাচ্চ তাভ্যঃ” (ব্রহ্মস্থ, ২৷৩১৭)। অর্থাৎ আত্মা উৎপন্ন নহেন-শ্রীতিতে ও Digitized at BRCIndia.com