পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাত্মসন্দর্ভের ৩৩৪ তাহাদের হইতে স্মৃষ্টি হয়। এই সকল বিষয়ের স্মৃষ্টিতে র্তাহারা কোনণ্ড উপাদান গ্ৰহণ করেন না। দৃষ্ট ও সন্নিহিত ব্যাপার পরিত্যাগ করিয়া, অদৃষ্ট ও অসন্নিহিত কল্পনায় কল্পনাবাহুল্য-দোষ ঘটে, এই মিমিত্ত সুত্রকার এই বিষয় প্রতিপাদন করু।ার জন্ত “দেবান্দিবাদপি লোকে” (ব্রহ্মস্থা, ২/১১৫) এই সুত্রের উল্লেখ করিয়াছেন। সাধুরীর শরীর অচেতন, কিন্তু শ্ৰীমৎশঙ্করাচাৰ্য্য বলেন, দেবাদির শরীর মহাপ্রভাবসম্পন্ন। সুতরাং তাঁহাদের তুষ্ট দ্রব্যাদি মায়িক নহে। তাহারা স্বকীয় বিহারার্থ প্রাসাদ্দাদি দ্রব্য সকল নিৰ্ম্মাণ করেন। ঐন্দ্রজালিকগণ uBD KBSBBBDBB BBBS BB BBBBS BBB BDL SS DBD BEBB BBB BB BBB BB BDEBO S “আত্মনি চৈবল্‌" (ব্রহ্মস্থ, ২১:২৮) এই সুবুের ব্যাখ্যায় শ্ৰীমৎশঙ্করাচাৰ্য্য "দেবাদি ও মায়াবাদিগণ৷” এইরূপ লিখিয়া, ইন্দ্ৰজালিকা হইতে দেবাদিকে পৃথক করিয়া অভিহিত করিয়াছেন। সুতরাং দেবাদির স্তায় অচিন্তম শক্তিবলে ব্ৰহ্ম বিকার রহিত হইয়াও জীব, ও জগৎ রূপে পরিশমিত হইয়াছেন। লোকে ও শাস্ত্ৰে ইহা প্রসিদ্ধই আছে যে, চিন্তামণি নিজে অবিকৃত থাকিয়াও নানা দ্রব্য সৃষ্টি করে। এই প্রকার কথায় এক প্রশ্নের উদয় হইতে পারে যে, ব্ৰহ্ম কোন রূপ দ্বারা পরিণত হয়েন, কোন রূপ দ্বারা স্বীয় রূপ সংরক্ষণ করিয়া অবস্থান করেন ? ইহাতে রূপভেদ :কল্পনানিবন্ধন ব্রহ্মের সাবয়বৃত্বের প্রসক্তিদোষ ঘটে অর্থাৎ ব্রহ্মের যে অবয়ব আছে, ཕཛི་ সিদ্ধ প্রসঙ্গ হয়। ইহার উত্তরে ইহাই বলা যায় যে, তা হউক, (তাহাতে দোষ কি ?) मैं:ठख **- মূলত্বাং” এই স্থাত্রানুসারে প্রতিপন্ন হইয়াছে, সাবয়ব ও নিরািবয়ব ব্ৰহ্ম সম্বন্ধে এই পরস্পরবিরুদ্ধ ধৰ্ম্ম শ্রুতিবিরুদ্ধ নহে। এই উভয় প্রকার শ্রুতিই দেখিতে পাওয়া যায়। তিনি অচিন্ত্যস্বভাব, তাহাতে এই বিরুদ্ধ ধৰ্ম্মের সমাশ্রয় অসঙ্গত নহে ।" শ্রুতিতে যেমন নিষ্কল, নিক্রিয় ও শান্ত, ইত্যাদি বাক্য আছে, তেমনই তিনি 'চতুষ্পাদ, অষ্টাদশকল, ষোড়শকল' ইত্যাদি বাক্যও আছে।--(ছান্দোগ্য, ১৩১৮৭২ দ্রষ্টব্য) । সুত্রকার নিজেও "বিকিরণত্বান্নেতি চেৎ তভুক্তম্” ব্ৰেহ্মস্থ, ২॥১৩১) এই সূত্রে করণবিহীন ব্রহ্মের সর্বসামর্থযোগী প্রদর্শন করিয়াছেন। (ভাষ্যকার শ্ৰীমাংশঙ্কৰাচাৰ্য্যও লিখিয়াছেন, পরব্রহ্ম ‘অত্যন্ত গম্ভীর, কেবলমাত্র শ্রুতিগম্য, /ॐश নহেন, অপিচ এক ব্যক্তিতে যে শক্তি দেখা যায়, অন্য ব্যক্তিতেও অবিকল সেই শক্তি অবস্থান করিবে, এমন কোন নিয়ম নাই, এইরূপে পরব্রহ্মে সৰ্ব্বশক্তিযোগ অসম্ভব নীহে )। খেতাশ্বতর উপনিষৎ বলেন, “তঁহার কার্য্য ও করণ নাই।” ইহাতে এই প্রমাণ হয় যে, शिव কারণরহিত স্বাভাবিক জ্ঞানাদি বৰ্ত্তমান। এইরূপ পৈঙ্গী ত্রুতিতে প্ৰকাশ আছে যে, \\ ク* ‘हेनि বিরুদ্ধ, অথচ অবিরুদ্ধ’ ইত্যাদি। বিষ্ণুপুরাণুেও উক্ত হইয়াছে, ইনি সৰ্ব্বশক্তিনিলয় অর্থাৎ ইনি পরস্পরবিরূদ্ধ সৰ্ব্বশক্তির সমাপ্ৰিয় । এই প্রকার সাবয়বৃত্বে অনিত্যের আশঙ্কা নাই। কেননা, অনিত্যতাঙ্কোতৃক প্রাকৃত সাবায়ুৰ বস্তু হইতে ব্ৰহ্ম পৃথক বস্তু, ইনি সৰ্ব্বকারণ, ইনি শ্রুতিপ্রমাণমূলক নিত্য পদার্থ। মাধ্বভায্যে “সম্বন্ধানুগপত্তেঃ" (২২.৩৮) এই সূত্র ব্যাখ্যায়। এ সম্বন্ধে আলোচনা দৃষ্ট হয়। বিষ্ণু সম্বন্ধে Digitized at BRCIndia.com ■