পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সনহরতলী সত্যপ্রিয়ের মনের কোন কথা কেউ কোনদিন ঘুণাক্ষরে টের পায় না, মহীতোষের মনের কথাগুলি বাতাসে উড়িয়া বেড়ায় । যামিনীকে দেখিয়া যশোদা একটু অবাক হইয়া যায়, তারপর তার প্ৰস্তাব শুনিয়া যশোদার একেবারে চমক লাগে । “আমার এখানে থাকবেন মানে কি গো জামাইবাবু ?” অজিত বুদ্ধিমানের মতো একটু তফাতে সরিয়া গিয়াছিল। যামিনী গম্ভীরভাবে বলিল “শ্বশুরের অন্ন আর কতকাল ধবংস করব চাদের-মা ? তাই ভাবছি, অজিতবাবুর মতো আপনার এখানে ঘর ভাড়া করে থাকব ।” “এক ?” “উহু, সবাইকে নিয়ে থাকিব-অজিতবাবুর মতো ।” যশোদা হাসিয়া ফেলিল । সত্যপ্ৰিয়ের মেয়েকে নিয়া যাশিনী তার বাড়ীতে ঘর-ভাড়া করিয়া থাকিবে । এমন ছেলেমানুষী কথা যশোদা জীবনে কখনো শোনে নাই । “ঝগড়া হয়েছে বুঝি শ্বশুরের সঙ্গে ?” “ঠিক ঝগড়া নয়, ওখানে আর বাস করা যায় না । কি কুক্ষণেই যে বড়লোকের মেয়ে বিয়ে করেছিলাম চাদের-মা ।” প্রথমটা হাসিয়া উড়াইয়া দিলেও শেষ পৰ্য্যন্ত যশোদা ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝিতে পারে। একটু সহানুভূতি পাইয়াই ঘামিনীর মুখ খুলিয়া যায়, ফেণাইয়া ফাপাইয়া বাড়াইয়া কমাইয়া আবিরাম সে বড়লোকের, বিশেষ করিয়া সত্যপ্ৰিয়ের মেয়েকে বিবাহ করার ট্র্যাজেডি বর্ণনা করিয়া ৰায়, দুর্ভাগ্যের ইতিহাস যেন তার শেষ হইবে না । ৰ্যাপারটা বুঝিতে যশোদার বিশেষ কষ্ট হয় না, সত্যপ্রিয়কে সে তো GNO