পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

*কেন, আমি কি পাপ করছি ? স্বামীর সঙ্গে স্বামীর ঘর করতে যাব, তা লুকিয়ে চুরিয়ে যাব কেন ?? যোগমায়া এখনো স্বামীর ঘর করিতে যায় নাই, সে অভিজ্ঞতাও তার নাই। সে শুধু শুনিয়াছে, স্বামীর ঘর করিতে যাওয়াটা মেয়েদের মহা গৌরব ও সৌভাগ্যের কথা । “বাবা যেতে দেবেন না ।” “খুব দেবেন।” আসল কথা, যোগমায়ারও সখ্য চাপিয়াছিল, একটু বেড়াইয়া আসিবে, জীবনে একটি নতুনত্ব আনিবে । বাজপ্রাসাদের মত এতবড বাগান-ঘেরা বাড়ী ঘরভরা গাদা গাদা আপনজন আল আত্মীয়স্বজন, গাত সব দামী আসবাব আর দাসদাসী, নানা উপলক্ষে প্রায়ই লোকজনকে খাওয়ানোর হৈ চৈ, কৰ্ত্তার মেয়ে বলিয়া সকলের উপর এতখানি কর্তৃত্ব, তবু যেন যোগমায়ার সব একঘেয়ে লাগে । বিবাহের অনেক আগে হইতেই একঘেয়ে লাগে, বাড়ীর বাহিরে খেলা করিতে যাওয়া সত্যাপ্রিয় যখন রদ করিয়া দিয়া ছিল । বিবাহত হইলে ভাল লাগিবে ভাবিয়াহিল, যামিনীর সঙ্গে রাত কাটাইতে ভাল লাগেও বটে, কিন্তু তাতে কি মানুষের মন ওঠে, বাস্তবতার সঙ্গে সংশ্ৰব -বিহীন অল্পবয়সী একটি মেয়ের মন ? যোগমায়ার রাগও হইয়াছিল। যামিমীকে দেশে পাঠানোর জন্য নয়, চার টাকা পথ-খরচ দিয়া যামিনীকে তাড়াইয়া দেওয়া হইয়াছে এই গুজবটা রাটিয়াছে বলিয়া । তার স্বামীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করে তার বাবা, সকলের কাছে তার স্বামীকে এমনভাবে অপমান করে ! স্বামীর இெ