পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সনহরতলী একটু হাসিয়াছিল।-“রঙিন কাপড় পরার। ৰয়েস কি আর আছে বোন ? তোমার এমনি সাদাসিদে কাপড় থাকলে পারতাম। তোমার ঐ কাপড় পরে বেী সাজি, আর আমায় দেখে সং ভেবে সবাই হাসুক, অত বোকা ।” তোমার দিদিকে পাওনি ।” ‘রঙীন কাপড় পরলে লোকে হাসবে, এত বুভী তুমি হওনি দিদি । তোমার বয়েসে সবাই সাজগোজ করে ।” জামাকাপড়ের এই আলোচনায় বোধ হয় যোগমায়ার খেয়াল হইয়াছিল, একে একে সে চাহিয়া দেখিয়াছিল। সকলেব দিকে । তারপর চাহিয়াছিল নিজের জমকাল শাডীখানার দিকে । এদের সঙ্গে সে সিনেমা দেখিতে যাইবে, এদের সঙ্গিনী হিসাবে ? কি ভাবিবে লোকে ? চেনা লোকে সাদি তাকে এদের সঙ্গে দেখতে পায় ? এ পাড়াটা পার হইষা যাওযার সময় তো অনেক চেনা লোকের চোখে পড়িয়া সাইবে, সত্যপ্রিয় চক্ৰবৰ্ত্তীর মেয়ে সে, কে না তাকে চেনে এপাড়ায় ? তাড়া তাডি নিজের ঘরে গিয়া যোগমায়া কাপড় ছাড়িয়া ফেলিতে আরম্ভ করিল। একটু পরে রওনা হওয়ার সময়েও তাকে ঘরের বাতির তহঁতে না দেখিয়া সুব্ৰতা ডাকিতে গেল । যোগমায়া বলিল, “আমি যাব না, যেতে ইচ্ছে করছে না। আমার । ‘কেন ? হঠাৎ তোমার কি হল, যাবার জন্য তৈরী হয়ে ? “বললাম তো ইচ্ছে করছে না।” সুব্রত মুখ ভার করিয়া ফিরিয়া আসিয়া খবর দিল, “ও যাৰে না দিদি । কাপড়াচোপড় ছেড়ে বসে’ আছে।” তখন ব্যাপার বুঝিতে গেল যশোদা । Sis