পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्नडट्झडठट्नी সত্যপ্ৰিয়ের চোখের এমন বিশ্বগ্রাসী মারাত্মক ক্ষুধার সঙ্গে ধনঞ্জয়ের সেই মৃদু কামনার অভিব্যক্তির তুলনাই। তয় না। হঠাৎ যশোদার একটা অদ্ভুত ধরণের লজ্জা বোধ হয়, অনেকদিন সেরকম লজ্জার সঙ্গে তার পরিচয় ঘুচিয়া গিয়াছিল। চোখের অস্বাভাবিক দীপ্তি নিভাইয়া সত্যপ্রিয় বলিল, ‘তবু, মেয়ে-জামাইকে ফিরিয়ে আনবাব জন্য আমি কিছু করতে পারব না চাদের-মা । তুমি নিজে যখন এসেছ, আমার মেয়ের ভালর জন্য এসেছ, তোমার জন্য আমি এইটুকু করতে পারি-ওদের ক্ষমা করলাম । তুমি গিয়ে ওদের বলতে পার, ওরা যদি ফিরে আসে। আমি ওদের কিছু বলব না ।” বাড়ী ফিরিয়া যশোদা নিজের বিস্ময়ে নিজেই হতবাক হইয়া থাকে । তার জীবনে কখনও এমন সমস্যা উদয় হয় নাই । যা সে দেখিয়া আসিয়াছে সত্যপ্ৰিয়ের চোখে, তাই কি ঠিক ? অন্য আর কি হইতে পারে ? যেভাবে সত্যপ্রিয় তাকে দু'চোেখ দিয়া গ্ৰাস করিতে চাহিয়াছিল। তার তো অন্য কোন ব্যাখ্যা সম্ভব নয় ? কিন্তু সত্যপ্ৰিয়ের পক্ষে কি ওটা সম্ভব ? বিশেষতঃ তাকে দেখিয়া ? তার মত বিরাটকায়া মাঝবসায়ী রমণীকে সামনে বসিয়া থাকিতে দেখিয়া সত্যপ্ৰিয়ের মত প্রৌঢ় মানুষের মধ্যে জোয়ারের আকস্মিক বন্যার মত প্ৰচণ্ড কামনার উদ্রেক হইতে পায়ে, এ তো বিশ্বাস করার মত কথা নয় । চোখ বুজিয়া বাস্তবকে এড়ানোর ছেলেমানুষী যশোদার মধ্যে নাই। সে জানে, সত্যপ্ৰিয়ের মত সবল সুস্থ সংযমী মানুষ প্রৌঢ়ত্বে S