পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊाझ्झडठी রাত্তিরে আমায় পাহারা দিও।” রাজেন হাসিমুখে চলিয়া গেল। চিরদিন হাসিমুখেই রাজেন তার কাজ করিয়া দেয়,-কুমুদিনীকে ফাকি দিয়া। যশোদার সঙ্গে রাজেন বেশী মেলামেশা করিবে কুমুদিনী এটা পছন্দ করে মা, দু’জনকে কথা বলিতে দেখিলে সে রাগিয়া আগুন হইয়া যায়, দু’তিন দিনের জন্য যশোদাকে একেবারে ত্যাগ করে । তারপর নিজেই আবার ভাল করিতে আসে । তীক্ষ্ম কথা আদান-প্ৰদানের ভাব । দিনান্তে একবার যশোদা কাছে না। আসিলে আর খানিকক্ষণ ঝগড়া করিয়া না গেলে কুমুদিনীর ভাল লাগে না, সারারাত মেজাজ তার এমন গরম হইয়া থাকে যে রাজেনের দুর্ভোগের সীমা থাকে না । রাজেন বাহির হইয়া যাওয়া মাত্র ধনঞ্জয় ফোস করিয়া উঠিল, “ওকে থাকতে বললে যে তোমার কাছে ?” লণ্ঠনের আলোয় ধনঞ্জয়ের মুখ দেখিয়া যশোদা রাগ করাব বদলে শান্তভাবেই বলিল, “মাথা খারাপ না কি তোমার ? তামাসা বোঝা না ?” ধনঞ্জয় অবুঝ শিশুর মত আব্দার করিয়া বলিল, “ওরকম তামাসা আর কোরোনা, বুঝলে ? লড় খারাপ লাগে শুনলে।” যশোদা কথা বলিল না । ধনঞ্জয়ের কথা শুনিয়া তারও খারাপ লাগিতেছিল।