পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সনহৱতলী দোষের অফুরন্ত তালিকা মুখস্থ করিয়া সে দিন কাটাইয়াছে, যশোদার মত খারাপ মেয়েমানুষ যে জগতে আর দু'টি নাই এ কথাটা প্ৰমাণ না করিয়া সে ছাড়িবে না । শেষে যশোদা বলে, ‘এদিকে তুই তো আলাপ করছিস আমার সঙ্গে, আরেকজন যে না খেয়ে কাজে গেল ?” “যাক । আরেকজনের জন্য তোর অন্ত দরদ কেন শুনি ?” “পীরিতের মানুষটার জন্য দরদ হবে না ?” কুমুদিনী মুখ বা কাইঃ বলে, “তা তামাসা আর করছে। কেন ? পীরিত যে তোমাদের ঢের দিন থেকে চলছে, তা কি আর জানিনে আমি ? যশোদা হাসিয়া বলে, “কত গণ্ডা লোকের সঙ্গে যে তুই আমার পীরিত ঘটিয়ে দিলি ভাই ! কিন্তু আমার এমনি পোড়াকপাল—” কুমুদিনী ফোস করিয়া একটা অতি কুৎসিত মন্তব্য করিয়া নিজেই একটু খতমত খাইয়া যায়—কথাটা তার নিজের কানেই বীভৎস শোনায় । এতক্ষণ চটে নাই। কিন্তু এবার যশোদা চটিয়া উঠিবে ভাবিয়া কুমুদিনীর একটু ভয়ও বুঝি হয়। চিরদিন সে যশোদাকে ভয় করিয়া আসিয়াছে। রাগ না করিয়া যতক্ষণ যশোদা আমল দেয়। ততক্ষণই সে ঝগড়া করে, যশোদা রাগ করিলেই তার কান্না সুরু হইয়া যায়। তাড়াতাড়ি সামলাইয়া নিয়া নরম গলায় সে অন্য কথা জিজ্ঞাসা করে, “আচ্ছা, কেন বাড়ী বেচিবি না বলতে তো দোষ নেই छांई iिgशब्र-भों जई ?” কুমুদিনীর তকথ্য মন্তব্যে যশোদা রাগ করিয়াছে কিনা বোঝা যায়। না, কেবল মুখখানা তার একটু গম্ভীর দেখায়। একটু ভাবিয়া সে .Š:Ša نمو