পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ञ्तडठ्झडक्रट्नौ সাজাইয়া রাখে, যশোদার দেওয়া চৌকির পায়া চারটিতে রঙীন কাপড়েছে। ঢাকনি দেয়, টুকিটাকি আরো কত কি যে সে করে। আর সঙ্গে করে অজিতের সঙ্গে নানা বিষয়ে পরামর্শ--যশোদার সামনেই । মাঝে মাঝে যশোদারও মতামত জিজ্ঞাসা করে । মাস নয়, বছর নয়, সমস্ত ভবিষ্যতকে সে যেন এই একটি ঘবে আটক করিয়াছে । এই ঘরেই তার যেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। কোথায় টেবিল পাতিবে, কোনদিকে আলমারি রাখিবে, ক’খানা আর কি ধরণের চেয়ার কিনিবে, এসব কল্পনার আল। শেষ থাকে না । যে কেটে সে কল্পনায় আসবাব কিনিতে থাকে, তাতে একবছর পরে এ-ঘরে তিল ধারণের স্থান থাকিবে কি করিয়া যশোদা ভাবিয়া পায় না । কয়েকদিন রাধিস খাওয়ায় যশোদাই । তারপর একদিন দুপুরে সুব্রতা বলে, “আমি কোথায় রাঁ ধৰ্ব্ব দিদি ?” “আমার রান্না রুটছে না ?” “ওমা, সে কি কথা ! সত্যি বলছি দিদি, এমন রান্না জীবনে খাইনি কখনো । আজ যে কুমন্ডোর ছক্কা খাওয়ালে, ঠিক অমৃতের মত লাগলো। কুমড়োর ছক্কার যে আবার এমন স্বাদ হয়, স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। তবে কি জান দিদি, আমরা হলাম ভাড়াটে, চিরকাল তো আর তোমার ঘাড়ে খাওয়া উচিত হবে না ।” “আমার ঘাড়ে খাবে কেন বোন ? তোমরা খরচা দিও, রান্না এক {াগাতেই হবে । চারটি তো প্ৰাণী আমরা বাড়ীতে, দু’ঘায়গায় রোধে কোন লাভ আছে ? মিছেমিছি বেশী খরচ ।” শুনিয়া সুব্ৰতা খুলী হইয়া তৎক্ষণাৎ এ প্ৰস্তাবে রাজী হইয়া যায়।