পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সলহরতলী এবং সে কঁাচের বিনিময়ে কিছু সোনাদানাও অনায়াসে দিয়া বসে। কিন্তু হীরার বদলে কঁাচ পাইয়াছে বলিয়া কখনো আপশোষ করে না। কারণ, কঁচ সে কঁােচ তা সে জানে, আসলে সে দাম দেয় শুধু আনন্দন্টুকুর। যশোদা এটা আশা করে নাই। সুব্রতাকে ভাল লাগিলেও এবং একটু স্নেচ জাগিলেও প্রথমটা তাকে যশোদার মনে হইয়াছিল, তুবড়ির ত উচ্ছাস ভরা অকালে পাকা ফাজিল মেয়ে। তারপর ক্ৰমে ক্রমে যশোদা বুঝিতে পারিয়াছে, কথা বলা ছাড়া আব্ব কোন বিষয়ে সে তুবড়িধৰ্ম্মী নয় । ঠেকিয়া শেখা অভিজ্ঞতার পরিমাণটা তার অস্বাভাবিক রকমের বেশী নয়, কেপল দেখিয়া-শোঁপা অভিজ্ঞতা সঞ্চায়ের স্বভাব সিদ্ধ পটুতার জন্য জ্ঞানের ভাণ্ডারটা বেশীরকম ভরিয়া ওঠায় তাকে একটু পাকা মনে হয়, আসলে মেয়েটা কঁচাই আছে । মনকে সঙ্কীর্ণ করার অপবাধে নিজেকে অপরাধী করে নাই বলিয়া সাঙ্গস ও সরলতা তার একটু BBS DBD DDDSDDD DBD D DDBDBDS রাজেনকে যশোদা বলে, “না, এল ঠিক ভদ্রলোক নয়।” “দেখলে তো ? এমন ভাড়াটে এনে দিয়েছি, দু’দিনে পছন্দ হয়ে গেল। কি তোমার ভাল লাrগ না লাগে, সব জানা আছে চাদের-মা !” যশোদা হাসিয়া বলে, ‘মনের মানুষ তুমি, তুমি জানবে না তো কে জানবে ?” কাছে বসিয়া কুমুদিনী মুখ বাকায়। ধনঞ্জয় অসঙ্গায় দৃষ্টিতে যশোদার মুখের দিকে চাহিয়া থাকে। সুব্রতার সুঠাম দেহ আর সুন্দর মুখখানা দেখিয়া একটা কথা যশোদার , বার বার মনে পড়িয়া যায়। বাড়ীর লোকের পছন্দ করা কুরূপ মেয়েটির 8수