পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সনহরতলী চিন্তিয়া সকলে ঠিক করিল, হয়তো যামিনীর এমন কোন অসুখ হইয়াছে যা পরীক্ষা করিতে বিশেষ কোন যন্ত্রপাতি লাগে, যে-সব যন্ত্রপাতি নিয়া ডাক্তারের বাড়ীতে আসিবার উপায় নাই। কিন্তু সত্যপ্রিয় নিজে গোল কেন ? যদি বা গেল, কাউকে সঙ্গে নিল না কেন ? এভাবে সে তো কখনো কোথাও যায় না ! ডাক্তারের বাড়ী দেখিয়া যামিনী অবাক । মারাত্মক রোগ হইয়াছে তার, মস্ত এক ডাক্তারের বাড়ীতে তাকে নিয়া যা ওয়া হহঁতেছে, এই ভাবনায় মুখখানা যামিনীর সৰ্পিজারেব টসটসে ভাবের মধ্যেও শুকনো দেখাইতে ছিল । কিন্তু বড় ডাক্তাব কি গণিাপ মধ্যে এমন একটা ছোট রঙ-চটা বাড়ীতে থাকে, এমন চেহারা হয় তার বসিপাব ঘবের ? পুবানো একটা ওষুধের আলমাবি, কয়েকখানা কাঠের চেয়ার আর একটা ময়লা কাপড়-ঢাকা কাঠের টেবিল, তাতে পাচে ছ’খানা ডাক্তারি বই । ঘরের মাঝখানে সবুজ রঙ-করা চটের পার্টিসন দেওয়া, তার ওপাশে বোধ হয় রোগীকে পরীক্ষা করা হয় । ডাক্তার সম্ভবতঃ প্রতীক্ষা করিতেছিল, সত্যপ্রিয়ুকে দেখিয়া খুব বেশী বিস্মিত হইল না । কেবল মহাসমারোহে অভ্যর্থনা করিয়া বলিল, “আসুন, अiरन, <5न ।' একজন মাত্র রোগী বসিয়াছিল, পাঁচিশ ছাব্বিশ বছর বয়সের একটি যুবক । চেহারাটি শীর্ণকায়, চোখের নীচে কালিপড়া, মুখখান তেলতোলা । তাকে তাড়াতাড়ি বিদায় করার জন্য ডাক্তার বলিল, “আচ্ছা, আপনি দিন সাতেক পরে আবার আসবেন। যা-যা বললাম করবেন। আর ওষুধ দু’টো निश्चभ भ6ऊा २८दन ।' ` 24ܠ