পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুনহৱতজনী ‘রাত্রে ঘুম হবে তো ডাক্তারবাবু ?” যুবকটির গলা খুব মোটা আর কর্কশ। কিন্তু কি যে গভীর হতাশা তার প্রশ্ন আর প্রশ্নের ভঙ্গিতে ! রাত্রির ঘুমের কথা ভাবিয়া, এখন । এই সকাল বেলাই, সে যেন আতঙ্কে আধমরা হইয়া গিয়াছে। ডাক্তার বলিল, “হবে । শোবার আগে যে ওষুধটা দিয়েছি, ওটাতেই ঘুম হবে। ঘুম যদি না হয় কাল সকালে একবার আসবেন।” সত্যপ্রিয় বলিল, “তোমার রাত্রে ঘুম ভয় না ?” অপরিচিত মানুষের অপ্রত্যাশিত প্রশ্নে ছেলেটি এমন করিয়া চমকাইয়। উঠিল যেন স্নায়ুর কেন্দ্ৰে ঘা লাগিয়াছে, চোখের পলকে মুখখানা তাক ফ্যাকাসে হইয়া গেল। সত্যপ্ৰিয়ের মুখের দিকে একনজর তাকাইয়াই চোখ নীচু করিয়া বলিল, “আজ্ঞে হঁ্যা ।” সত্যপ্রিয় প্ৰচণ্ড একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “ ছেলেবেলা থেকে ব্ৰহ্মচর্য্যের অভাব ঘটলে তো এরকম হবেই। কত ছেলে যে এমনি করে। আত্মহত্যা করছে । তাদেরি বা দোপ কি, সব শিক্ষার দোষ । মা বাপ যদি না খেয়াল রাখে, তারা ছেলেমানুষ, তাদের কি জ্ঞান বুদ্ধি আছে যে ভবিষ্যৎ ভেবে নিজেদের সামলে চলবে ! কি বলেন ডাক্তার বাবু?” “আজ্ঞে হঁ্যা, তা বৈকি।” ছেলেটি উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল, “আচ্ছা, আজ আসি ডাক্তারবাবু। বুঝা গেল, পালানোর জন্য সে ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছে। সত্যপ্রিয় বলিল, “বোসে একটু, তোমার ঘুমের জন্য একটা কথা বলে। দিই। ওষুধের চেয়ে এতে তোমার বেশী কাজ হবে। শোয়ার আগে برایS