পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনহরতলী ভ্ৰকুঞ্চিত করিয়া কবিরাজ একটু ভাবিল, তারপর বলিল, “তা ছাড়া, আমার মনে হয় সবটাই আপনার অনুমান, আপনার জামায়ের কোন চিকিৎসার দরকার ছিল না। শ্ৰীমানের স্বাস্থ্য তো এমন-কিছু খারাপ নয় ! ওর মানসিক স্বাস্থ্যই বরং একটু খারাপ যাচ্ছে ।" ‘তা বলতে কি বুঝাচ্ছেন ?” ‘বুঝাচ্ছি যে শ্ৰীমানের মনটা একটু বিকারগ্রস্থ, কোন আঘাতটাঘাত পেয়েছে মনে কি” বা অনেকদিন থেকে কোন দুঃখকষ্ট সহ করে” আসছে। ওষুধ-পথ্যের ব্যবস্থা না করে” খুব চৈ-চৈ ফ'ৰ্ত্তি করে? দিন কাটাবার ব্যবস্থা করলেই বোধ তম ভাল হ’ত ।” “হৈ-চৈ ফক্তিটা কি রকম ?” “এই মনের আনন্দে থাকা অব কি । বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে হাসিতামাসা করা, খেলা-ধূলা ভাল লাগলে তাই করা, দেশটিশ বেড়ানো, ভাল লাগলে শিকার-টিকারে যাওয়া-কি জানেন, সবাহকার তো এক জিনিষ পছন্দ নয়, যার যেদিকে মন ধায় । একেবারে মদটব্দ খেয়ে গোল্লায় যাবার ব্যাপার। যদি না হয়, বেশী বা ধাৰ্বাধির চেয়ে অল্পবিস্তর অসংযমও ভাল । শ্ৰীনান বড় বেশী ভয়ে-ভাবনায় দিন কাটায়-” “কিসের ভয় ভাবনা ?” সত্যপ্রিয়ের মুখ দেখিয়া কবিরাজ কথার মোড় ঘুরাইয়া নিল। যে চিকিৎসা চায় উপদেশ চায় না, তাকে যাচিয়া উপদেশ দিয়া লাভ কি ! কবিরাজের সঙ্গে আলোচনার কয়েকদিন পরেই সত্যপ্রিয় মেয়েকে দেশে পাঠানোর আয়োজন করে। দেশের বাড়ীতে আত্মীয়স্বজন আছে। সত্যপ্ৰিয়ের এক পিসতুতো বোন স্বামীপুত্ৰ নিয়া অনেকদিন হইতে এখানে