পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ , সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। হয়, তবে প্রথমেই বিশ্রান্তি করা উচিত, অর্থাৎ বুদ্ধ্যাদি যে পরটার প্রয়োজন সাধন করে সেটাকেই অসংহত বলা উচিত। আঞ্জার অসংহতত্ব বিষয়ে ५झेরূপ অনুমান হইতে পারে,— “আত্ম ন সংইতঃ ত্রিগুণাদি-বিপৰ্য্যয়াং, যল্পৈবং তয়ৈবং যথা বুদ্ধ্যাদি" এরূপ স্থলে কেবল ব্যতিরেক ভিন্ন অন্বয়ে "ইস্ত অসম্ভব । t o জড় মাত্রেরই এক একটা চেতন অধিষ্ঠাতা আছে, শরীরের অধিষ্ঠাতা জীবাত্মা, “অধিষ্ঠাতৃত্বং পরম্পরয়া চৈতন্ত-সম্পাদকত্বং” পরম্পর-সম্বন্ধে অপরের চৈতন্য যে সম্পন্ন করে, অর্থাৎ যাহার সন্নিধানে জড়েরও কার্য্য হয়, তাহাকে অধিষ্ঠাতা বলে । সাক্ষাৎ সম্বন্ধে জীবাত্মায় চৈতষ্ঠ থাকে, পরম্পর-সম্বন্ধে শরীরাদিতে চৈতন্ত জন্মে বলিয়া উহার সচেষ্ট হয় । মধিষ্ঠেয় বস্তুতে অধিষ্ঠাতার আত্মাভিমান ( আমিত্ব বোধ ) থাকে, শরীরেন্দ্রিয়াদিতে জীবের আত্মাভিমান থাকায় আমি স্থল, রুশ, অন্ধ বরি ইত্যাদি জ্ঞান হয়। নিরতিশয় মহৎ স্বৰ্য্যমণ্ডলেরও এক জন অধিষ্ঠাতা দেবতা আছেন, বিশ্ব ব্ৰহ্মাও স্থল জগতের অধিষ্ঠাতা বিরাট পুরুষ । রথ ও সারথি স্থলে ওরূপ আত্মাভিমান না থাকিলেও, অর্থাৎ সারথি রথকে আমি বলিয়া ন জানিলেও, রথের ব্যাপার সারথির সম্পূর্ণ অধীন। ফল কথা, অধিষ্ঠেয় বস্তুব প্রতি অধিষ্ঠাতার একাধিপত্য। জড়ের পূজা করেন বলিয়া পৌত্তলিকগণ অনেক সময় উপহাসাম্পদ হইয়া থাকেন, বাস্তবিক পক্ষে পৌত্তলিকগণ জড়ের পূজা করেন না, সৰ্ব্বত্রই জড়ের অধিষ্ঠাতা চেতন দেবতার পূজা হইয়া থাকে। o - * ভোগ্য বিষয়ে যাহার অনুভব হয়, তাহাকে ভোক্তা বলে, ভোক্তার অনুভবের বিষয়ই ভোগ্য ৷ ভোগ্য ও ভোক্তার নিয়ত সম্বন্ধ, ভোক্তা না থাকিলে ভোগ্যের ভোগ্যতা সিদ্ধি হয় না, ভোগ্য না থাকিলেও ভোক্তার ভোক্ততা সিদ্ধি হয় না। সুতরাং ভোগ্য বুদ্ধ্যাদি দ্বারা ভোক্তার (আত্মার ) অনুমান সহজেই হইতে পারে । ত্রিগুণাত্মক বলিরা জড় মাত্রই মুখ দুঃখ-মোহ-স্বরূপ, “মুখ নিজে নিজেকে চায়”, “দুঃখ নিজে নিজেকে পরিত্যাগ করিতে ইচ্ছা করে” এরূপ হইতে পারে না। আপনার উপর আপনার কোন ব্যাপার চলে না, “নাই সুশিক্ষিতোহপি নটঃ স্বস্কন্ধ মধিরোহতি” সুশিক্ষিত অভিনেতাও আপনার স্কন্ধে আপনি চড়িতে পারে না । অতএব স্বয়ং সুখাদি স্বরূপ নহৈ এমত ব্যক্তিরই মুখে অস্থরাগ ও স্থঃখে দ্বেষ হয়, এরূপ বুঝিতে হইবে। . স্বভাগে যাদৃশ্যে যন্ত ন জহাতি কদাচন। অঙ্গারঃ শর্তধোতেন মলিনত্বং