পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Swo সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী । অর্থাৎ একক্ষণে সকলের চেষ্টা না হওয়া। যদিচ প্ৰয়ত্বরূপ প্রবৃদ্ভিটী অল্পঃকরণেরই ধৰ্ম্ম (আত্মার নহে) তথাপি আস্থায় উহার উপচার হয়, অর্থাৎ অস্তঃকরণের ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তিটা ( কেবল প্রবৃত্তি নহে, অস্তঃকরণের সমস্ত ধৰ্ম্মই আত্মীয় উপচরিত হইয়া থাকে ) আত্মার ধৰ্ম্ম বলিয়া বোধ হয় | আত্মা এক হইলে উহা (যাহাতে প্রবৃত্তির উপচার হইয়া থাকে), একটা শরীর অবচ্ছেদে প্রয়ত্ব করিলে সেই আত্মাই সকল শরীরে এক বলিয়া সকল শরীর অবচ্ছেদেই প্ৰয়ত্ব হইয় উঠে, সেরূপ হইলে একক্ষণেই সকল শরীর চালনা করে অর্থাৎ একটা শরীরে প্রয়ত্বপূৰ্ব্বক চেষ্টা হইলে সকল শরীরই চলিয়া উঠে । আত্মার নানাশ্ব হইলে উক্ত দোষ হয় না । • আত্মার ভেদে আরও কীরণ“ত্রৈ গুণ্য-বিপর্যায়”. অর্থাৎ সত্বাদি গুণত্রয়ের পার্থক্য । কারিকার “এব” শব্দ ভিন্নক্রম, অর্থাৎ "ত্রৈগুণা-বিপর্যায়াৎ” শব্দের পরে পঠিত হইলেও সিদ্ধ শব্দের পরে উহার অন্বয় করিয়া সিদ্ধমেব এইরূপ ব্যাখ্যা করিতে শুইবে । কোন কোন জীব সত্ত্বনিকায় অর্থাৎ সত্ত্বগুণের অধিক্য বশতঃ প্ৰধানতঃ জ্ঞান স্থখাদি বিশিষ্ট হয়; যেমন উদ্ধস্রোতা অর্থাৎ রেত:সেক শূন্ত দেবগণ, কোন কোন জীব রজঃ-প্রধান যেমন মনুষ্য, কোন কোন জীব তম:প্রধান যেমন পশু পক্ষী ইত্যাদি । আত্মার একত্ব স্বীকার করিলে অর্থাৎ দেব মনুষ্য পশ্বাদিতে একই আত্মা এরূপ স্বীকার করিলে দেবাদি জাতিতে গদশিতভাবে সরাদি গুণের পার্থক্যবশতঃ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে জ্ঞান-সুখ-দুঃখাদির বিকাশ হইতে পারে না । আত্মার ভেদ স্বীকার করিলে কোন দোষ হয় না । ১৮ ॥ - মন্তব্য। নিত্য পদার্থ দ্বিবিধ, কুটস্থ-নিতা ও পরিণামি-নিত্য, যাহাদের ‘ਿਤ নাই, বিনাশ নাই, চিরকালই একভাবে থাকে, তাহাকে কুটস্থ-নিতা বলে, আত্মাই কুটস্থ-নিত্য । যাহাদের পরিণাম হইয়াও বিনাশ হয় না, তাহাদিগকে পরিণামি-নিতা বলে। কুটস্থ-নিত্য আত্মা বিভূ অর্থাৎ সৰ্ব্বব্যাপী, উহার গত্যাগতি নাই, পঞ্চপ্রাণ, ( সাংশ্যমতে করণের সামান্ত বৃত্তিকেই প্রাণাদি পঞ্চবায়ু বলে) মন, বুদ্ধি, (অন্তঃকরণ)" পঞ্চ জ্ঞানেক্রিয় ও পঞ্চ কৰ্ম্মেস্ক্রিয় এই সপ্তদশ অবয়ব বিশিষ্ট স্বক্ষ শরীরের গত্যাগতিতেই আত্মার গত্যাগতি ব্যবহার হয় । স্বষ্টির আদিতে গতোক পুরুষের এক একটা স্বাক্ষ শরীর গ্রকৃতিকর্তৃক নিৰ্ম্মিত হয়, উহার স্বাক্টকাল সমস্ত থাকির প্রলয়কালে প্রধানে লীন হয়, এই স্বল্প শরীরই ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মাদির আশ্রম, ব্যবহারিক জীব ইহাকেই বলা যায়,