পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/১৮৫

সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী । "לט כי অভিপ্রায় জানিয়া প্রবৃত্ত হয়, এ কথা যুক্তিসঙ্গত, করণ-সমুদায় অচেতন মুতরাং মাষ্টীকাদির ন্যায় উহারা প্রবৃত্ত হইতে সমর্থ হয় না, অতএব এই সমস্ত করণের স্বরূপ যোগ্যতা ও অভিযোগ (কিরূপে চালাইতে হয় ) জানে এরূপ এক জন অধিষ্ঠাতার ( সগুণ আত্মীর) থাকা আবগুক, এইরূপ আশঙ্কায় বলিয়াছেন,— (করণের এবৃত্তিতে) পুরুষাৰ্থই কারণ, করণ-সকলু অপর কাহারও দ্বারা ৫বৰ্ত্তিত হয় না । অনাগতাবস্ত ( ভবিষৎ, যাহা হইলে ) ভোগ ও অপবর্গরূপ পুরুষাৰ্থই করণ সকলকে প্রবর্তিত করে । করণ সকলের স্বরূপ জানে একপ কর্তা আত্মার স্বীকার নিরর্থক । এ সমস্ত কথা “বৎস বিবৃদ্ধি নিমিত্ত’ ইত্যাদি ( ৫৭ কারিকায় ) স্থলে উপপন্ন করা ফাইবে ॥ ৩১ ॥ মন্তব্য ৷ গুfয়মতে কৰ্ত্ত আয়ার ইচ্ছা যত্ন প্রভৃতি ব্যাপার হইতেই করণের ব্যাপার হয়, চেতন আত্মাই ইঞ্জিয়াদি করণকে চালনা করে, সাংখ্যমতে আত্মার কর্তৃতা নাই, তবে জড় করণের প্রবৃত্তি কিরূপে হয় ? এইরূপ অশল্পায় পুরুষাৰ্থকেই গবৰ্ত্তক বলা হইয়াছে, অর্থাৎ করণ সকল পুরুষের ভোগ ও অপবর্গ সাধন করিবার নিমিন্তই ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মলশতঃ স্ব স্ব কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়া থাকে । সাংখ্যমতে পুরুষের খণ্ডন করা হয় নাই, কিন্তু করণ বুদ্ধাদির ব্যাপার দ্বারা কর্তা পুরুষের অল্পমান হয় না, পুবষের অনুমান অন্তকাপে গুয়, তাহা "সংঘাতপরার্থত্বাৎ” ইত্যাদি স্থলে বিশেষরূপে দেখান ৬ইয়াছে ॥ ৩১ ॥ কৌমুদী ॥ ন কেনচিৎ কাৰ্য্যতে করণ মিত্যুক্তং তত্র বরণং বিভজতে । or অনুবাদ ॥ বুদ্ধাদি করণ সকল কাঙ্গর দ্বারা প্ৰবৰ্ত্তিত হয় না এ কথা বলা হইয়াছে, করণের বিভাগ করিতেছেন । করণই ত্রয়োদশ-বিধং তদাহরণ-ধারণ-প্রকাশকরং । " কাৰ্য্যঞ্চ তস্য দশধা হাৰ্য্যং ধাৰ্য্যং প্রকাশ্বাঞ্চ ॥ ৩২ ব্যাখ্য', করশং (কারক বিশেষঃ, বুদ্ধাদিকং ) ত্রয়োদশ-বিধং ( স্ত্রয়ো: দশ-প্রকারং ) তৎ আচরণ-ধারণ-প্রকাশকরং (তৎকরণং, আহরণকরং কৰ্ম্মেঞ্জিয়ং, ধারণকরং অন্তঃকরণং, প্রকাশকরং জ্ঞানেন্দ্ৰিয়ং ) তস্ত কাৰ্য্যঞ্চ হার্যাং ধাৰ্য্যং প্রকাগুঞ্চ দশধা (তন্ত করণস্ক কৰ্ম্মচ হাৰ্য্যং ধাৰ্য্যং প্রকাপ্তঞ্চ প্রত্যেকং দিনাদিৰ)তর দশধ। দশগুণকীরং ) ॥ ৭২ i