পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जौ९ शङर-८र्रांौ ol শারীর ও মুনিম। বাত, পিত্ত ও প্লেয়া এই ত্ৰিবিধ শরীর ধাতুর বৈষম্য অর্থাৎ নুনাতিরৈকতা বশতঃ দুঃখ" জন্মে। কাম, ( ভোগেচ্ছ, লালসা ). ক্ৰোধ, লোভ, মোহ, ভয়, ঈর্ষা,বিষণ্ণতা ও বিষয় বিশেষের ( যে বিষয় পাইতে ঐকান্ত ইচ্ছা থাকে) অপ্রাপ্তি বশত: মানস দুঃখ জন্মে। উক্ত সমস্তই আস্তর অর্থাৎ শরীরের অন্তভূর্তপদার্থ দ্বারা উৎপন্ন হয় বলিয়া ইহাকে আধ্যাত্মিক দুঃখ বলে , বাহ (শরীরাদির বহির্ভূত) পদার্থ দ্বারা দুই প্রকার দুঃখ इंहेब्री থাকে, আধিভৌতিক ও আধিদৈবিক। ইহার মধ্যে আধিভৌতিক দুঃখ’ ( ভূতশব্দে প্রাণিমাত্র এবং ক্ষিতাদি পঞ্চ উভয়বিধই বুঝিতে হইবে, এই ভূত হইতে উৎপন্ন দুঃখকে আধিভৌতিক দুঃখ বলে ) মনুষ, পশু, পক্ষী, সরীস্বপ ( কৃকলাস) ও স্থাবর (স্থিতিশীল, ভূমি পৰ্ব্বতাদি) জন্ত হইয়া থাকে। আধিদৈবিকল্লখ ( বিদ্যাধরাদি জাতিকে দেবযোনি বলে, উহা দ্বারা যে দুঃখ জন্মে, • তাহাকে আধিদৈবিক-দুঃখ বলে।) যক্ষ, রাক্ষস, বিনায়ক,( যাহারা-বিঘ্ন করে ) ও শনি প্রভৃতি গ্রহের আবেশ অর্থাৎ দৃষ্টি (অধিষ্ঠান ) বশতঃ হইয়া থাকে। রজোগুণের পণিামবিশেষ এই দুঃখ সকলেরই স্ববিদিত স্বতরাং “নাই এ কথা বলা যায় না। অন্তঃকরণে অবস্থিত ( সাংখ্যমতে মুখদু:খাদি অস্ত্রকরণের • ধৰ্ম্ম, আত্মার নহে) এই ত্ৰিবিধ দুঃখের সহিত চেতনাশক্তি পুরুষের প্রতিকূলতারূপে (অনিষ্টরূপে, দুঃখ যেন আমাদের না হয়, এই ভাবে। ) সম্বন্ধকে অভিঘাত বলে i . (খ )। এ পর্যন্ত যতটুকু বলা হইয়াছে, তাহা দ্বারা বলা হইল, প্রতিকূলক্কণে (ভাল লাগে না, এই ভাবে) দুঃখের বোধ হওয়ায় হুঃখত্যাগের ইচ্ছা হয়। সৎপদার্থ হুঃখের নিরোধ অর্থাৎ অভাব করিতে না পারিলেও, তাহার অভিভব (অনুভব না হয় এইরূপে,) হইতে পারে, এ কথা অগ্রে বলা যাইবে। অতএব দুঃখের অপঘাত (সম্পূর্ণ নাশক ন হইলেও অভিভবে সমর্থ) এ কথা সঙ্গত বলা হইয়াছে । তদপঘাতক শব্দে দুঃখত্রয়ের অপঘাতক বুঝাইৰুে (দুঃখত্রয়াভিঘাতের অপঘাতক এরূপ বুঝাইবে না), কারিকার ইঃখত্রর উপসর্জন * গৌণ, অভিঘাতশব্দের বিশেষণ ) হইলেও, বুদ্ধিতে উপস্থিত কোরিকার দুঃখত্রর শব্দ শ্রবণে দুঃখত্রয়ের জ্ঞান জন্সিয়াছে, তাহার স্মরণ অাছে। তদশৰে সেই বুদ্ধিস্থ হুঃখত্রয়ের উপস্থিতি করিয়াছে ) থাকার তদশজ দ্বার গ্রহণ হইয়াছে। হঃখত্রয়ের নাশের কারণ শাস্ত্রপ্রতিপাদ্য, তত্বজ্ঞান, আর কিছুই নহে, ইহাই” শাস্ত্রকারের অভিপ্রায় ।