পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:২২, সংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। দোষ নাই। গোটাদি সমস্তেরই স্থলজ ও ইজিয়-বেদত (মুক্তিরে দ্বার গ্রহণ হইবার যোগ্যতা ) পৃথিব্যাদির সহিত সমান অর্থাৎ পৃথিবী (মৃত্তিকা ) যেমন স্থল ও চক্ষুঃ বা ত্বক ইঞ্জিয়গ্রাহ, টাদিও সেইরূপ, অতএব পৃথক, তত্ব নহে । অল্পভয় প্রকার (সংক্ষেপক্কপে বলিবার সময় ) বলা হইয়াছে, সম্প্রতি তাহাই বলা হইতেছে, পুৰুষ কাৰ্য্য বা কারণ কিছুই নহে। এ সমস্ত বিষয় অগ্ৰে বিশেষরূপে বলা যাইবে ॥ ৩ ॥ - মন্তব্য ৷ বোধের সুগম উপায় করিবার নিমিত্ত দার্শনিক পণ্ডিতগণ জগতের সমস্ত পদার্থ শ্রেণীবিভক্ত করিয়া নির্দেশ করিয়া থাকেন। প্রকৃতি ও তৎ-কাৰ্য্যরূপ জড়বর্গ হইতে সম্পূর্ণরূপে পৃথক্ করিয়া পুব্যকে (আত্মাকে ) জানিতে পারিলে মুক্তি হয়। একটা বস্তু হইতে অপরটকে পৃথক্ভাবে বুঝাতে হহ’লে, উভয়েরই স্বভাব বিশেষরূপে বর্ণনার আলগুক, এই নিমিত্তই সীমান্তও বিশেষভালে জড়বর্গ বলা হইয়াছে, নতুবা আত্মজ্ঞানেই মুক্তি হয়, জড়বর্গেব জ্ঞানের ওiবশুক ছিল না । চতুৰ্ব্বিংশতি জড়বর্গ সমস্তই প্য পদার্থ যত্ব, রজঃ ও তমঃ এই গুণত্রয় বৈশেষিক শাস্ত্র প্রসিদ্ধ গুণ নহে, গুরুষরূপ পশুকে বন্ধন করে এবং বেশীর স্থায় পরস্পর আবদ্ধ থাকে বলিয়া গুণ বলিয়া নির্দেশ হঠয়াছে। জড়বর্গের মূল কারণ গ্রকৃতি, উহাব বিভাগ হয় না, টহ নিত্য পদার্থগুণত্রয়ের মুক্তিরিক্ত নহে । কারিকায় গুণত্রয়ের সাম্যাবস্থাকে প্রকৃতি বলা হইয়াছে, কিন্তু সাম্যাবস্থা প্রকৃতি নহে, সাম্যাবস্থা উপলক্ষিঅৰ্থাৎ যাঙ্গর কখন সীমাবস্থা ਬੋ গুণত্রয়কেই প্রকৃতি রলে, বৈষম্য অবস্থায় স্বষ্টি হয়, মহুদাদি কখনই সাম্যাবস্থায় উপলক্ষিত হয় না। এদিকে সামাবস্থাকে বিশেষণ না বলিয়া উপলক্ষণ বলার বৈষম্যাবস্থায় স্বষ্টিকালেও গুণত্রয়ের প্রকৃতিত্ব হানি, হইতেছে না, বিশেষণ ও উপলক্ষণের বিশেষ এষ্ট,-বিশেষণটা বর্তমান থাকে, উপলক্ষণটা বর্তমান না থাকিয়াও বিশেষ্যকে ইতর হইতে পৃথকভাবে বুঝাইয়া দেয়, যে গৃহের চালে কাক পড়িয়াছিল; সেইটী অমুকের গৃহ, এখানে কাক বর্তমান না থাকিয়াও গৃহের পরিচয় জন্মায় ; এখানে কাকটী উপলক্ষণ । উক্ত গুণত্রয়ের স্থানে জয়শাস্ত্রে পরমাণু নির্দিষ্ট হইয়াছে, কিন্তু বিশেষ এই ভায়ের পরমাণুর শবাদি গুণ আছে, গুণত্রয়ের তাই নাই, সাংখ্যের ভূত স্বল্প বা পঞ্চতন্মাত্র স্থানে ভায়ের পরমাণুর নির্দেশ হইতে পারে। - স্থলভূত বা পঞ্চতন্মাত্র হইতে পঞ্চমহাভূত্বাত্মক তত্ত্বস্তর বলা হইয়াছে ;