পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

39 সাংখ্যতত্ত্ব-কে আছে বলিয়া অনুমান নিরূপণ করিয়া শৰু নিরূপণ করিতেছেন। আপ্ত .রনের অর্থ অর্ধশ্রতি অর্থাৎ সত্য বাকৃi { কারিকার অাপ্ত বচন পদটা লক্ষ্যের বাচক, অবশিষ্টটুকু লক্ষণ অর্থাৎ আগুশ্রুতিকেই আপ্ত বচন বলে । আঞ্চ শল্পের অর্থ প্রাপ্ত অর্থাৎ যুক্তিযুক্ত প্রামাণিক, যথার্থ। আপ্ত যে শ্রুতি (শব্দ ) তাহাকে অপ্তশ্রুতি বলে। এতি শব্দে বাক্য জন্ত বাক্যার্থ জ্ঞান অর্থাৎ চিত্ত বৃত্তি বুঝাইবে (সাংখামতে চিত্তবৃত্তিকেই প্রমাণ বলে) । উক্ত রাক্যার্থ জ্ঞান খতঃ প্রমাণ অর্থাৎ উহা প্রমাণ কি না ? জানিবার নিমিক অন্ত প্রমাণের অপেক্ষা করে না, কারণ পুরুষঙ্কত নহে, এরূপ নিত্য বেদবাক্যজনিত বলিয়া ক্কোনরূপ দুষ্ট নহে, ( লৌকিক বাক্যস্থলে পুরুষের দোষ ভ্রম প্রভৃতি শম্বে আরোপ হয় ) মুতরাং যুক্ত অর্থাৎ সত্য । বেদের স্থায় বেদমূলক স্মৃতি ইতিহাস ও পুরাণাদি বাক্য জনিত জ্ঞানও যুক্ত অর্থাৎ প্রমাণ হয় । প্রথমতঃ সুপ্ত পরে জাগ্রত, ব্যক্তির পুৰ্ব্বদিনের কথার পর দিলে স্বরণ ওয়ারু ভায় আদি বিদ্বান, কপিলের পূৰ্ব্বকল্পে ( প্রলয়ের পূৰ্ব্বে পৃষ্টিতে) অধীত বেদ বাক্যের স্মরণ পর কল্পের প্রথমে হইতে পারে । এরূপ অনেক দিনের কথা স্মরণের বিষয় (মহাভারতে) অবট জৈগীষবা সম্বাদে বর্ণিত আছে, ভগবান জৈগীষবা দশ মহাকরে (কন্ন অতি দীর্ঘকাল, ব্ৰহ্মার এক দিন) বারস্থার পরিবর্তন অর্থাৎ জন্ম মৃত্যু লাভ করিয়া ইত্যাদি গ্রন্থ ভাগ দ্বারা নিজের দশ মহাকল্পকালীন জন্মপরম্পরার স্মরণ বলিয়াছেন। অাপ্ত পদ দ্বারা অযুক্ত অর্থাৎ প্রমাণ রহিত বৌদ্ধ ক্ষপণক অবধূত শ্বেত-পট প্রভৃতির শাস্ত্র পরিহার হইতেছে৮ঐ সমস্ত গ্রন্থ প্রমাণ নহে, কারণ উহাদের নির্দা শ্রবণ আছে, উহাদের মূল নাই, ( স্থতি প্রভৃতির মুল বেদ ) উহাতে প্রমাণ-বিরুদ্ধ বিষয়ের উক্তি অর্থাৎ বৌদ্ধাদি গ্রন্থে যাহা বলিয়াছে, তাহ প্রত্যক্ষাদি-প্রমাণ-বিরুদ্ধ পশুতুল্য পুরুষাধম মেচ্ছপ্রভৃতি লোকেই উহাকে শাস্ত্র বলিয়া স্বীকার করিয়াছে (কোন বুদ্ধিমান বাকি গ্রহণ করে নাই ), অতএব বৌদ্ধাদিপ্রণীত গ্রন্থ যুক্ত নহে (সুতরাং প্রমাণ মহে ) । “তু’ শব্দ ( আগু বচনং তু) দ্বারা শব্দকে অনুমান হইতে পৃথক্ করা হইয়াছে, অর্থাৎ অনুমানের রীতিতে শব্দ-প্রমাণ দ্বারা অর্থবোধ, হুইবে না, শঙ্গাস্বলে বাক্যার্থ (এক পদার্থবিশিষ্ট অপর পদার্থ) প্রমেয় অর্থাৎ শঙ্কপ প্রমাণ দ্বারা বাক্যার্থের বোধ হইয় থাকে, বাক্য বাক্যার্থের ধৰ্ম্ম নষ্ঠে, ধৰ্ম্ম হইলে বাকাকে হেতু বলিয়া বাক্যার্থরূপ ধৰ্ম্মীর অম্বুমান রক্ট পাতি (যেমন ধুমকে হেতু করিয়া বৃষ্ট্রিবিশিষ্ট পৰ্ব্বতের.অল্পমান হয়)।